বিশ্বকাপের মধ্যেই তাঁর আত্মহত্যা করার কথা মনে হয়েছিল। এমনই দাবি করলেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার। আসলে ভারতের কাছে হারের পরে এতটাই ভেঙে পডে়ছিলেন তিনি, যে একসময় আত্মহত্যা করার কথাও মনে হয়েছিল পাক কোচের। তবে ভারতের কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে পরের ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে পাকিস্তান। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন আর্থার।
এ বারের বিশ্বকাপেও ভারতের কাছে হারার নজির অক্ষুণ্ণ রেখেছে পাকিস্তান। ম্যানচেস্টারে ভারতের কাছে ৯৬ রানে হারতে হয়েছিল সরফরাজ আহমেদদের। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মিকি আর্থার জানিয়েছেন, এই হার তাঁর কাছে এতটাই যন্ত্রণাদায়ক ছিল যে একসময় তাঁর আত্মহত্যা করার কথাও মনে হয়েছিল। স্বভাবতই ভারতের কাছে হারের পরে পাক সমর্থকদের থেকে শুরু করে সেদেশের সংবাদমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় আর্থার এবং তাঁর দলের। কোচ এবং অধিনায়কের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে হারের জেরে পাকিস্তানের বিশ্বকাপে শেষ চারে যাওয়া নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রবল চাপ আর হতাশাতেই ভেঙে পড়েছিলেন পাকিস্তান কোচ।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে সম্প্রীতি! এই ভারতীয় সমর্থক গলা ফাটালেন পাকিস্তানের হয়ে
২০০৭ সালে বিশ্বকাপ চলাকালীনই হোটেলের ঘরে মৃত্যু হয়েছিল তৎকালীন পাক কোচ বব উলমারের। সেই মৃত্যু স্বাভাবিক হলেও আর্থারের কথায় উলমারের ঘটনার স্মৃতি অনেকের মনেই ফিরে এসেছে।
যদিও সেই হতাশা যে তিনি কাটিয়ে উঠেছেন, তাও জানিয়েছেন আর্থার। তিনি বলছেন, দিনের শেষে এটা তো খেলাই। সবকিছু নির্ভর করে পারফরম্যান্সের উপরে।
আপাতত বিশ্বকাপের প্রাথমিক রাউন্ডে তিনটি ম্যাচ বাকি আছে পাকিস্তানের। এই তিনটি ম্যাচে জেতার পাশাপাশি নেট রান রেটও বেশ কিছুটা বাড়িয়ে নিতে হবে মিথি আর্থারের দলকে। তবে তাদের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। বুধবার বার্মিংহামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে পাকিস্তান।
আর্থারের কথায়, 'আমরা সবসময় খেলোয়াড়দের বলি যে একটা ভাল পারফরম্যান্সই খেলার ফল আমাদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারে। আজ কে সেই পারফরম্যান্সটা করে দেখাবে?'