ফাইনালেও মস্ত বড় ভুল! আম্পায়ারিং ঠিক হলে আগেই হেরে যেত ইংল্যান্ড

  • ফাইনালেও ভুল করলেন আম্পায়ররা
  • শেষ ওভারে ওভার থ্রো-তে ইংল্যান্ডকে ছয় রান দেওয়া হয়
  • কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী তাদের পাঁচ রান পাওয়া উচিত
  • সেই রানটা না পেলে কিন্তু আগেই হেরে যেত ইংল্যান্ড

amartya lahiri | Published : Jul 15, 2019 8:11 AM IST / Updated: Jul 15 2019, 05:32 PM IST

নিউজিল্যান্ডকে বাউন্ডারির হিসেবে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। ৫০ ওভারের খেলার পর দুই দলই ২৪১ রান তুলতে পেরেছিল। এরপর সুপার ওভারেও দুইদলই ১৫ রান করে তোলে। কিন্তু গ্রুপের বেশ কিছু ম্য়াচ, দুই সেমিফাইনাল-এর মতো ফাইনালেও আম্পায়াররা করলেন মস্ত বড় এক ভুল, সেটা না হলে খেলা সুপার ওভার পর্যন্ত সম্ভবত গড়াতই না।

নির্ধারিত সময়ের শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। বোল্টের প্রথম দুটি বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে বেন স্টোকস ছয় মারেন। তার পরের বলটি লঙ অনে ঠেলে দুই রান নেওয়ার জন্য দৌড়ান স্টোকস। প্রথম রানটি সম্পূর্ণ করার পর দ্বিতীয় রানটি কোনও মতে সম্পূর্ণ করেন তিনি।

কিন্তু মার্টিন গাপ্টিলের ছোড়া বলটি স্টোকস ক্রিজে ঢোকার সময় তাঁর ব্যাটে লেগে থার্ড ম্যান এলাকা দিয়ে চার হয়ে যায়। সহকারী আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে কুমার ধর্মসেনা ওবার থ্রো-তে চার ও দৌড়ে নেওয়া দুই রান মিলিয়ে মোট ছয় রান দেন ইংল্যান্ডের খাতায়। ফলে শেষ দুই বলে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩। ইংল্যান্ড ২ তুলতে পারায় ম্য়াচ টাই হয়ে যায়।

আরও পড়ুন - নিউজিল্যান্ডে জন্ম, সেখানেই বড় হওয়া, কিউইদের স্বপ্নভঙ্গ করলেন বেন স্টোকস

আরও পড়ুন - সেরা বিশ্বকাপ একাদশ, সচিনের বাছাই! আট নম্বরের চমকে ভারতকে বার্তা

আরও পড়ুন - ৭টি চার-ছয়ের ব্যবধানে বিশ্বজয়ী ইংল্যান্ড! ৫১ ওভারেও আলাদা করা গেল না দুই দলকে

প্রশ্ন উঠেছে ওভার থ্রো-এর বলটিতে ইংল্যান্ডের কি ছয় রান প্রাপ্য ছিল না পাঁচ? কারণ আইসিসির নিয়ম বলছে, ওভার থ্রো-এ যদি চার হয়, সেই  ক্ষেত্রে ফিল্ডার বল ছোড়ার আগে যদি দুই ব্যাটসম্যানরা নিজেদেরকে ক্রস করেন তাহলেই সেই রানটি পেনাল্টি রানের সঙ্গে যুক্ত হবে।

যদি ফিল্ডার বল ছোঁড়ার আগে দুই ব্য়াটসম্য়ান পরস্পরকে ক্রস না করে থাকেন তাহলে সেই রানটা পেনাল্টি রানের সঙ্গে যোগ হবে না। গাপ্টিল বলটি ছোড়ার আগে স্টোকস ও আদিল রশিদ একে অপরকে ক্রস করতে পারেননি। কাজেই নিয়ম অনুযায়ী ইংল্য়ান্ডের পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল। অর্থাৎ শেষ দুই বলে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য হত চার। কাজেই ইংরেজদের বিশ্বজয়ে এই চোনাটুকু রয়েই গেল।   

Share this article
click me!