
ভারতের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে একদিনের সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট দল। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও হতশ্রী পারফরম্যান্স রেগিস চাকাবাভার দলের। প্রথম ওকদিনের ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল ব্যাগি গ্রিণরা। আর দ্বিতীয় একদিনের ম্যাতে অ্যারন ফিঞ্চের দল জিতল ৮ উইকেটে। কিন্তু এই জয়ের উল্লেখযোগ্য বিষয় হয় ৫০ ওভারের খেলা অস্ট্রেলিয়া জিতল টি২০-র থেকেও কম ওভারে। ১৫ ওভার শেষ হওয়ার আগেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় অজিরা। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৭.৫ ওভারে ৯৬ রানে অলআউট হয়ে য়ায় জিম্বাবোয়ে। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৪.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ের ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল ক্যাঙারি ব্রিগেড।
ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট করতে নেমে শুরু থকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় জিম্বাবোয়ে। নিয়মিত ব্যবধানে পরপর উইকেট হারিয়ে ম্যাচে ফিরে আসার কোনো সুযোগ পায়নি আফ্রিকান দেশটি। সিন উইলিয়ামস ২৯ রানের ইনিংস না খেললে আরও লজ্জাজনক স্কোরের সম্মুখীন হতে হত জিম্বাবোয়েকে। সিন উইলিয়ামস ছাড়া কোনও ব্য়াটসম্যান ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। ইনোসেন্ট কাইয়া ২, মারুমানি ৪, মাধেভেরে ০, সিয়ান উইলিয়ামস ২৯, সিকন্দর রাজা ১৭, রেগিস চাকাবভা ১০, টনি মুনিয়ঙ্গা ১০, রায়ান বার্ল ১০, জংউই ১, ব্র্যাড ইভান্স ২ ও রিচার্ড ১ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জাম্পা ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন। একটি করে উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড ও অ্যাস্টন অ্যাগর।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ১৬ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরত যান দুই ওপেনার। ১৩ রান করে রিচার্ড নাগারাভার বলে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। ১ রান করে আউট নাগারাভার দ্বিতীয় শিকার হন অ্যারন ফিঞ্চ। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন স্টিভ স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারে। দুজন মিলে অনবদ্য ব্যাটিং করেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন। তাদের ব্যাটেই ১৪.৪ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১০০ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ ৪৭ ও অ্যালেক্স ক্যারি ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রসঙ্গত, প্রথম ম্যাচে ২০০ রান করেছিল জিম্বাবোয়ে। সেই রান ৩৩.৩ ওভারেই চেজ করে ফেলেছিল ব্যাগি গ্রিণরা। এই জয়ের ফলে তৃতীয় ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে থাকল,আর জিম্বাবোয়ের কাছে আরও একবার হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার ভ্রুকুটি।