টি-২০ বিশ্বকাপের পর দেশের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
ভারতের বিরুদ্ধেই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ভারতের মাটিতে প্রথম গোলাপি বলের দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচও খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরেও গত দু'দশকে ভারত-বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ খুব বেশি হয়নি। এবার অবশ্য দেশের মাটিতে ফের ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ পেতে চলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, মোমিনুল হকরা। অস্ট্রেলিয়ায় চলতি টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর ডিসেম্বরে হবে দু'টি ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ভারতীয় দলের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার কথা। প্রথমে দু'দল তিনটি ওডিআই ম্যাচ খেলবে। তারপর শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় দলের পেস বোলিং আক্রমণ এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা। জসপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামিদের আগুনে বোলিং সামাল দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ব্যাটারদের ডিউকস বলে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া প্রতিযোগিতা জাতীয় ক্রিকেট লিগে ডিউকস বলে খেলা হচ্ছে। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, বিদেশের মাটিতে ভালভাবে খেলার জন্য যাতে ব্যাটাররা তৈরি হতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই ডিউকস বলে জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলার ব্যবস্থা। কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, আপাতত ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বিসিবি কর্তাদের আশা, এই বলে ম্যাচ অনুশীলন করতে পারলে মাহমুদুল্লাহ, শাকিব আল-হাসান, মুশফিকুর রহিমরা ভারতের বোলারদের বিরুদ্ধে দাপট দেখাতে পারবেন।
ডিউকস বলে খেলা অবশ্য ব্যাটারদের পক্ষে মোটেই সহজ নয়। বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম দুই রাউন্ডে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের মধ্যে মুশফিকুর ছাড়া আর কেউই এই বলে বিশেষ স্বচ্ছন্দবোধ করেননি। প্রথম রাউন্ডের কোনও ম্যাচই চারদিনে গড়ায়নি। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুশফিকুর শতরান করেন। ডিউক বলে শুরুতে ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ পাননি বাংলাদেশের টেস্ট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মোমিনুল ও টেস্ট দলের ওপেনার মাহমুদুল হাসান। কারণ, তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলার জন্য তাঁদের ভারতে আসার কথা ছিল। তবে সেই সিরিজের সূচি বদল হওয়ায় এই দুই ব্যাটার চট্টগ্রামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলেন। যদিও তাঁরা খুব একটা ভাল খেলতে পারেননি। দুই ইনিংসে মোমিনুল করেন যথাক্রমে ১৩ ও ২২ এবং মাহমুদুল করেন যথাক্রমে ১১ ও ৭ রান।
ডিউকস বলে খেলার ব্যবস্থা ছাড়াও পিচে বাধ্যতামূলকভাবে ৬ মিলিমিটার ঘাস রাখা হয়। ফলে উইকেটে পেস ও বাউন্স ছিল। এর সঙ্গে অচেনা বলে খেলা হওয়ায় ব্যাটাররা চাপে ছিলেন। মুশফিকুর অবশ্য এরই মধ্যে রাজশাহির হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নেমে ২৪৬ বলে ১১০ রান করেন।
আরও পড়ুন-