এলার করোনা ভাইরাস মহামারীর থাবা পড়তে চলেছে ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে। সাধারণত প্রতি বছর সেপ্টম্বর বা অক্টোবর থেকে ঘরোয়া মরশুমের খেলা শুরু করে দেয় বিসিসিআই। এই বছর আবার সেই সময় আইপিএল করার পরিকল্পনা রয়েছে বিসিসিআইয়ের। ফলে ঘরোয়া মরসুম শুরু হতে হতে নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরু। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, এক হাতে সময় কম ও দুই করোনা প্রকোপ থেকে ক্রিকেটারদের সুরক্ষিত রাখতে ৪টি টুর্নামেন্ট বাতিল করতে চলেছে বিসিসিআই।
আরও পড়ুনঃ'মানুষ গম্ভীরকে একেবারেই পছন্দ নয়,ওর মধ্যে কিছু সমস্যা আছে', ফের তোপ শাহিদ আফ্রিদির
বিসিসিআই সূত্রে খবর, আগামী মরশুমে শুধু রনজি ট্রফি ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিনু মানকড় টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ট্রফি আয়োজনের চেষ্টা করা হবে। তবে তার সম্ভাবনা কম। বিজয় হাজারে ট্রফি, দলীপ ট্রফি এবং দেওধর ট্রফি পুরোপুরি বাতিল হতে চলেছে। সি কে নাইডু অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টও বাতিল হতে চলেছে। শুধু এই টুর্নামেন্টগুলি বাতিল তাই নয়, রনজি ট্রফিরও ফরম্যাট বদল হতে পারে। আগের মতো জোন-পর্ব চালু করে দেওয়া হতে পারে রনজিতে। সেক্ষেত্রে ম্যাচও যেমন কমবে তেমন ক্রিকেটারদের খুব বেশি ট্রাভেল করতে হবে না।
আরও পড়ুনঃসোমে বৈঠক আইসিসির,বিশ্বকাপ বাতিল ঘোষণার অপেক্ষায় বিসিসিআই
আরও পড়ুনঃপাকিস্তানের এক বিশেষ ভক্ত চিঠি লিখতেন কাম্বলিকে, যা পৌছে দিতেন রশিদ লতিফ.
যদিও এখনও সরকারিভাবে এই বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিছুই ঘোষণা করেনি। কিন্তু সত্যিই যদি এই সিদ্ধান্ত কার্যকার হয়, তাহলে মাথায় হাত পড়তে চলেছে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ পিছু টাকা পায় প্লেয়াররা। সেখানে চারটি টুর্রনামেন্ট বাতিল হয়ে গেলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে ঘরোয়া প্লেয়ারদের। পাশপাশি রনজি ট্রফিও যদি জোন ভিত্তিক করে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানেও ম্যাচ কমবে। ফলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। এই বিষয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন ঘরোয়া ক্রিকেটাররা।