অনুস্টুপ এবং ঈশানের লড়াইয়ে রঞ্জি ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে বাংলা

Published : Mar 01, 2020, 07:48 PM IST
অনুস্টুপ এবং ঈশানের লড়াইয়ে রঞ্জি ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে বাংলা

সংক্ষিপ্ত

অনবদ্য লড়াইয়ে সেমিতে চালকের আসনে বাংলা অনুস্টুপের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৩০০ পেরোলো বাংলা ঈশানের আগুনে বোলিংয়ে কর্ণাটক শেষ ১২২ এ যোগ্য সঙ্গত মুকেশ ও আকাশ দীপের

শেষবার সম্ভব হয়েছিল ১৯৮৯-৯০ ক্রিকেট মরশুমে। ৫১ বছরের খরা কাটিয়ে সেবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ফাইনালে ইডেন গার্ডেনে দিল্লিকে হারিয়ে ভারত সেরার মুকুট নিজেদের মাথায় পড়েছিল বাংলা। রাজীব শেঠ, অরুণ লাল-দের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ভর করে বাংলার ক্রিকেটের সবচেয়ে সুন্দরতম মুহুর্তটি উপহার দিয়েছিলেন বাংলার ক্রিকেটাররা। সেই বিশেষ ম্যাচটিতেই রঞ্জি অভিষেক হয় ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলির। তার দাদা স্নেহাসিস গাঙ্গুলির জায়গায় ফাইনালে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সী সৌরভ। যদিও ম্যাচটিতে মাত্র ২২ রান করেছিলেন তিনি। 

এইবারের মরশুমে শাহবাজ, শ্রীবৎস, অনুস্টুপ দের হাত ধরে রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলা। সেই ঐতিহাসিক জয়ের পর কেটে গেছে ৩০ টা বছর। মাঝে কেবলমাত্র ২ বার রঞ্জি ফাইনালে উঠতে পেরেছে বাংলা। কিন্তু দিল্লি বা মুম্বাইয়ের কাছে হেরে ট্রফি অধরা থেকে গেছে। এইমুহুর্তে কর্ণাটকের সাথে সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে বাংলা। সেখানে প্রথম দুই দিনের চিত্র দেখে ট্রফির স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই। 

কাল শনিবার টসে জিতে বাংলাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় কর্ণাটক। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার ধারা অব্যহত রেখে স্কোরকার্ডে ১০০ রান তোলার  আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় বাংলার টপ অর্ডার। এই অবস্থায় রুখে দাঁড়ান অনুস্টুপ মজুমদার। শাহবাজ আহমেদ এবং আকাশ দীপ-কে সাথে নিয়ে প্রবল লড়াই লড়তে শুরু করেন তিনি। ফলস্বরূপ লাঞ্চের আগে পুরো টপ-অর্ডার কে হারিয়ে ফেলা বাংলা দিনের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৭৫। গোটা টুর্নামেন্টের মতোই শেষদিকে ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যান শাহবাজ। আকাশ দীপের ব্যাটও ভরসা দেয় বাংলাকে। দ্বিতীয় দিন ঈশান পোরেলের সাথে জুটি বেঁধে দলকে তিনশোর গন্ডি পার করিয়ে নিজে ১৪৯ রানে অপরাজিত থেকে যান অনুস্টুপ। সকালের সুইংকে কাজে লাগিয়ে কর্ণাটক ব্যাটিং অর্ডারকে ছারখার করে দেন বাংলার বোলাররা। অসাধারণ বোলিং করেন ঈশান পোরেল। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন আকাশ দীপ। ঈশান পাঁচ উইকেট এবং আকাশ দীপ নেন তিন উইকেট। কর্ণাটকের তারকা ব্যাটসম্যানরা সকলে ব্যর্থ। ভারতীয় দলে নিয়মিত থাকা কর্ণাটকের দুই তারকা লোকেশ রাহুল এবং মনীশ পান্ডে কে ফেরান বাংলার তৃতীয় পেসার মুকেশ কুমার। মাত্র ১২২ রানে অল-আউট হয়ে যায় কর্ণাটক। ১৯০ রানের বিশাল লিড পায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি বাংলার স্কোর ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৪৫। তিনটি উইকেটই তুলেছেন কর্ণাটকের পেসার অভিমুন্য মিথুন। ম্যাচ এখনো শেষ হয়নি তবে পাল্লা যে বাংলার ভারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

PREV
click me!

Recommended Stories

IND U19 vs UAE U19: বিধ্বংসী ব্যাটিং তরুণ বৈভবের! সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে দাপুটে সেঞ্চুরি
IPL Most Expensive Player: ধোনি থেকে ঋষভ পন্থ! এখনও পর্যন্ত, আইপিএল-এর নিলামে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার কারা?