দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবা ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যসরকারগুলি। বাংলাতেও খোদ ময়দানে নেমে করোনার মোকাবিলা করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। দিন কয়েক আগেই করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। সিএবি-ই ছিল প্রথম ক্রিকেট বডি যারা মহামারীতে নিজের রাজ্য সরকারকে সাহায্যের হাতি বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছিল। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন অভিষেক ডালমিয়া। প্রয়োজনে আরও অর্থ রাজ্য সরকারের সাহায্যে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল সিএবির তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃকরোনা মোকাবিলায় অভিনব উদ্যোগ,বিশ্বকাপ ফাইনালের জার্সি নিলামে তুললেন জস বাটলার
কথা মতই কাজ করল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। করোনা মোকাবিলায় নিজেদের দ্বিতীয় দফার আর্থিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এল রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা। আরও ১৭ লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হল সিএবি-র তরফে। সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘সিএবি-তে যাঁরা স্টাফ আছেন, স্কোরার, অবজার্ভারেরা এগিয়ে এসেছেন আর্থিক সাহায্য নিয়ে। প্রত্যেকে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই দ্বিতীয় দফার তহবিলে অবদান রেখেছেন। এর সঙ্গে অনেক ক্লাবও আর্থিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে।’’ সকলের অবদান মিলে দ্বিতীয় দফায় উঠেছে ১৭ লক্ষ। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সিএবি ৪২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দিতে পেরেছে। স্নেহাশিস বলছেন, ‘‘সিএবি-র তরফে আমরা আরও আর্থিক সাহায্য করার কথা ভাবছি। আরও টাকা তোলার চেষ্টা করছি আমরা। যখন যে ভাবে আমরা তুলতে পারব, তা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠানো হতে থাকবে।’’ ময়দানের বিভিন্ন ক্লাবের মালিদেরও এ দিন আর্থিক সাহায্য করেছে সিএবি। স্নেহাশিস জানালেন, সিএবি যা করার তো করবেই। এর পাশাপাশি তিনিও ব্যক্তিগত ভাবে মালিদের চাল দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃকরোনা যুদ্ধে সামিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা, একঝলকে দেখে নিন কে কত অনুদান দিলেন
শুধু অর্থ সাহায্যই নয়, প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানোনর জন্য ইডেন গার্ডেন্সকে দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। সেখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে বলেও জানান তিনি। সৌরভের এই উদ্যোগককে স্বাগত গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। কুর্নিশ জানিয়ছে সৌৎব অনুগামীরা। ফলে দেশ তথা রাজ্যের বিপদের দিনে সিএবি সরকারের পাশে আছে তা এদিন আরও একবার পরিষ্কার হল।