করোনা ভাইরাসের কারণে অন্যান্য দেশের মত সমস্ত রকম স্পোর্টিং ইভেন্ট বন্ধ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলছে লকডাউনও। ভারতের থেকে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা ভাল হলেও, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি দেশের পরিস্থিতি। তারউপর খেলা বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তারপর ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরও করোনা ভাইরাসের কারণে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্নের মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট খেলীয় দেশ যেখানে ক্রিকেট খেলা শুরুর কথা ভাবতে পারছে না, সেখানে ক্রিকেটারদের প্রি-সিজন চালু করার সিদ্ধান্ত নিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এমনটাই দাবি সেদেশের প্রথম সারির এক সংবাদ মাধ্যমের।
আরও পড়ুনঃসারার হাতে তৈরি কাবাব, ৬০ সেকেন্ডেই সাবার করলেন সচিন
তবে কড়া নিয়মের মধ্যেই চলতি মাসের শেষের দিক থেকে প্রি-সিজন চালু করতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া। জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদারকির দায়িত্বে থাকবেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিফ মেডিকেল অফিসার ড: জন অর্চার্ড এবং মেডিকেল সায়েন্স প্রধান অ্যালেক্স কান্টোরিস। শুধু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নয়। পাশাপাশি আইসিসিও ক্রিকেট চালুর বিষয়ে এই দু’জনের সহায়তা গ্রহণ করছে বলে জানা গিয়েছে। প্রি-সিজনে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বল পালিশে লাল বা ঘামের ব্যবহারের বিষয়টির উপর। বল পালিশে লালা বা ঘামের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একটি নেটে ২ থেকে ৩ জনের বেশি বোলার থাকবে না। ব্যাটসম্যান যেহেতু ২২ গজ দূরে থাকবে তাতে কোনও সমস্যা নেই।
আরও পড়ুনঃধোনির স্বীকারোক্তি,'আমিও চাপ অনুভব করি, আমিও ভয় পাই'
অস্ট্রেলিয়ার মেডিকেল সায়েন্স প্রধান অ্যালেক্স কান্টোরিস জানিয়েছেন, যে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা এগোচ্ছি সেগুলো মেনে চলা খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। যে বিষয়গুলো আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি সেগুলোকে প্রাধান্য দিতেই হবে। দূরত্ব বজায় রাখা, বল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা খুব একটা কষ্টসাধ্য নয়। সমস্ত নিয়ম পালন করলেও, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন এই পরিস্থিতিতে প্রি-সিজন শুরু করা অনেকটাউ ঝুঁকিসাপেক্ষ। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া দাবি করেছে প্লেয়ার, কোচ , সাপোর্টিং স্টাফদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দিকটি খতিয়ে দেখে ও তার ব্যবস্থা করেই এই প্রি-সিজন শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।