সংক্ষিপ্ত

  • ক্যাপ্টেন কুল বা মিস্টার কুল বলেই ধোনিকে জানেন সকলে
  • চাপ বিষয়টি ধোনির অভিধানে নেই বলে বলেন তার অনুগামীরা
  • কিন্তু ধোনিও ভয় পান, চাপ অনুভব করেন, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়
  • জানালেন খোদ প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি
     

ক্যাপ্টেন কুল বা মিস্টার কুল বলেই তাকে চেনেন সকলে। কঠিন মহূর্তেও নিজেকে হিমশীতল রাখতে হয় কীভাবে তা শেখা উচিত মহেন্দ্র সিম ধোনির থেকে। ভারতীয় দলের সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই মাঠে ধোনিকে খুব একটা মাতামাতি করতে দেখেননি কেউই। চুপচাপ ঠান্ডা মাথায় নিজের কাজটা করে যাওয়াতেই বরাবরই বিশ্বাসী মাহি। অধিনায়ক হওয়ার পর সেই ক্ষমতা আরও বারে ধোনির। টি-টোয়েন্টি ওয়ার্লড কাপ ফাইনাল, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে শুরু করে ধোনির অধিনায়কত্বে বহু ম্যাচে ঠান্ডা মাথায় নিজের ক্যারিশমা দেখিয়েছেন ধোনি। আইপিএলেও  ঠান্ডা মাথা দিয়ে বহু যুদ্ধ জয় করেছেন ধোনি।গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ভারতের পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে, তখন রুখে দাঁড়ান ধোনি ও জাদেজা। দু’জনের ব্যাটে জয়ের গন্ধ ভারত যখন পেতে শুরু করেছে, তখনই ইন্দ্রপতন ঘটে। রান আউট হন ধোনি। ভারতেরও জেতার স্বপ্ন শেষ  হয়ে যায়। সেই ম্যাচেও ধোনির মুখে টেনশন খেলা করেনি। চাপ শব্দটা ধোনির অভিধানে নেই বলে দাবি করেন তার অনুগামীরা।  কিন্তু এহেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও  ব্যাট হাতে নামার সময় চাপ অনুভব করেন। শুনে অবাক হলেন? কিন্তু এটাই সত্যি।

আরও পড়ুনঃ৯২-এর পর পাকিস্তান বিশ্বকাপ না জেতার জন্য কেন আক্রমকে দায়ী করলেন আমির সোহেল

আরও পড়ুনঃকেন তাকে ঘুসি মারার হুমকি দিয়েছিলেন ম্যাথু হেডেন,জানালেন পার্থিব প্যাটেল

মানসিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ধোনি। দেশে লকডাউন হওয়ার আগে হয়ছিল সেই অনুষ্ঠান। সেখানে মানসিক শক্তি ও স্বচ্ছতা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে বলেন ধোনি। প্রচারে ধোনি বলেছে, ‘‘আমি যখন ব্যাট করতে নামি তখন প্রথম পাঁচ-দশটা বল খেলার সময়ে আমার হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যায়। চাপ অনুভব করতে শুরু করে দিই। ভয় পাই।’’এছাড়াও ধোনি বলেন, "আমি মনে করি মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বচ্ছতা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেবল খেলাধুলার ক্ষেত্রে নয়। খেলোয়ারদের ক্ষেত্রে এটি একটি ছোট সমস্যা, তবে অনেক সময় আমরা কোচকে বলতে দ্বিধা করি এবং সে কারণেই কোনও খেলোয়াড় এবং কোচের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" ব্যাট করার শুরুতে মানসিক চাপ অনুভব করলেও, তা কাটিয়ে ওঠার দৃঢ়মানসিকতা রয়েছে  ধোনির মধ্যে। তাই তো যত ইনিংস গড়ায় ম্যাচ কঠিন হলেও, ধোনির মুখে চাপের লেশ টুকুও থাকে না। কিন্তু ধোনিও যে চাপে পড়েন, তারও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় তা শুনে কিছুটা অবকাই হয়েছেন সকলে।

আরও পড়ুনঃফিটনেস কোনও সমস্যা নয়, লকডাউনের পর ক্রিকেটে ফিরতে প্রস্তুত বিরাট কোহলি