অবশেষে সব জল্পনার অবসান। ময়দানের বটতলায় খবর ছিলই, শুধু অপেক্ষা ছিল সরকারি শীলমোহর পড়ার। এবার তাও হয়ে গেল। পরের মরসুমে লাল-হলুদ জার্সি গায়েই মাঠে নামবেন ভারতীয় গলের স্ট্রাইকার বলবন্ত সিং। চলতি মরসুমে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছেন মোহনবাগান। যদিও লিগের বাকি এখনও বেশ কয়েকটি ম্যাচ। করোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে আপাতত স্থগিত রয়েছে আইলিগ। দেশের যা পরিস্থিতি লিগ শেষ করা যাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন। তবে এইসবের তোয়াক্কা না করেই পরের মরসুমের জন্য ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছিল ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব। গত ২০১৯-২০ মরসুম ক্লাবের শতবর্ষ হলেও, গোটা মরসুম সাদামাটা ফুটবল খেলেছে ইষ্টবেঙ্গল। ট্রফি হীন থাকতে হয়েছে ইষ্টবেঙ্গলকে। করোনার জেরে পিছিয়ে গিয়ছে ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে আগামী মরসুমে গুছিয়ে টিম করতে বদ্ধপরকর লাল-হলুদ কর্তারা। সেই কারণেই মোহনবাগানের গোলকিপার শংকর রায়, উমেদ সিংয়ের পর এবার ভারতীয় স্ট্রাইকার বলবন্ত সিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল লাল-হলুদ শিবির।
আরও পড়ুনঃআইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ঘোষণা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের, কী বললেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট
ইষ্টবেঙ্গের ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পেলেও প্রথমে একটু ইতস্তত বোধ করছিলেন বলবন্ত সিং। কারণ আগামী মরশুমে লাল-হলুদ আইলিগ খেলবে না আইএসএল তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। শেষ মুহূর্তে যদি ইষ্টবেঙ্গল আইলিগ খেলার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আইএসএলে আর খেলা হবে বলবন্তের। এই বিষয়গুলি নিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছিলেন পঞ্জাব দা পুত্তর। অবশেষে নিজে মনস্থির করেই নিলেন। ঠিক করে নিলেন যাই হোক আগামী মরশুমে লাল-হলুদ জার্সিই গায়ে চাপাবেন বলবন্ত সিং।
আরও পড়ুনঃবিতর্কে ভরা শাহিদ আফ্রিদির সেরা একাদশ, দলে একমাত্র ভারতীয় সচিন, ৫ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার
জেসিটি অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা বলবন্ত ২০০৮ সালে সিনিয়র দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেখানে তিন বছর কাটানোর পর যোগ দেন সালগাঁওকরে। এরপর চার্চিল ব্রাদার্সে খেলেন তিনি। সেই ক্লাবের হয়ে ফেডারেশন কাপও জেতেন। ২০১৪-১৫ মরশুমে মোহনবাগানে সই করেন। সবুজ-মেরুনের প্রথম আই লিগ জয়ী দলের সদস্য এরপর আই লিগকে বিদায় জানিয়ে আইএসএলের মঞ্চে পা রাখেন। দুবছর চেন্নাইয়ে খেলে চলে যান মুম্বই। সেখান থেকে যোগ এটিকে-তে। এবছরই এটিকের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয় বলবন্তের। এহেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারকে দলে পেয়ে আগামী মরশুমে লাল-হলুদের আক্রমণ বিভাগের শক্তি অনেকগুন বাড়বে বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার বিষয় একটাই ইষ্টবেঙ্গলের ট্রফির খরা খাটিয়ে সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠতে পারেন কিনা পঞ্জাব দা পুত্তর।