সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভাইরাসের জেরে দেশ জুড়ে বাড়তে পারে লকডাউন
- যার ফলে আইপিএল ২০২০-র ভবিষ্যৎ বর্তমানে বিশ বাঁও জলে
- আদৌ টুর্নামেন্ট চলতি বছরে হবে কিনা তা সন্দিহান সকলে
- এরইমাঝে আইপিএল নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
দেশ জুড়ে ক্রমশ তার মারণ থাবা বিস্তার করেই চলেছে করোনা ভাইরাস। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও সংক্রমণ রোধ করতে দেশ জুড়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। করোনা জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রেও। ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে বন্ধ অন্যান্য সমস্ত খেলা। স্থগিত হয়ে রয়েছে দেশের একমাত্র কোটিপতি লিগ আইপিএলও। মার্চের ২৯ তারিখ শুরুর কথা ছিল আইপিএলের ১৩ তম মরসুম। সঠিক সময়ে টুর্নামেন্ট শুরু হল গোটা দেশ এই মুহূর্তে কাঁপত ক্রিকেট জ্বরে। কাঁপুনি এখনও আছে কিন্তু তা করোনা ভাইরাস আতঙ্কের। করোনার জেরেই স্থগিত হয়ে যায় আইপিএল। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই ও আইপিএলের গভর্নিং কমিটি। ১৫ এপ্রিলের পর পরিস্থিতি বিচার করে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কিন্তু করোনা প্রভাব দেশ জুড়ে আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় এই মূহূর্তে চলছে লকডাউন। লকডাউনের মেয়াদ যে আরও বাড়ছে তা প্রায় নিশ্চিত। সূত্রের খবর, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে বাড়ানো হতে পারে লকডাউন। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সহল একাধিক রাজ্য সকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করেও দিয়েছে। এইব পরিস্থিতিতে আইপিএলের ভবিষ্যৎ যে বিশ বাঁও জলে তা একপ্রকার নিশ্চিত।
আরও পড়ুনঃবিতর্কে ভরা শাহিদ আফ্রিদির সেরা একাদশ, দলে একমাত্র ভারতীয় সচিন, ৫ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার
এই পরিস্থিতে না বিদেশী প্লেয়াররা দেশে আসতে পারবেন, না বিভিন্ন রাজ্যে ম্যাচ আয়োজন করা যাবে। ফলে ফলে আইপিএল যে ফের পিছিয়ে যাচ্ছে সেই ইঙ্গত দিয়েছে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাোধ্যায়। সৌরভ জানান, “গোটা পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি। এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়। আর বলার কিছু নেইও। বিমান পরিষেবা বন্ধ, মানুষ গৃহবন্দি। অফিস বন্ধ। কেউ কোথাও যেতে পারছে না। মনে হচ্ছে, মে’র অর্ধেক পর্যন্ত এই অবস্থাই থাকবে। ক্রিকেটাররা কীভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাবে? খুব স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, আইপিএল কেন এখন কোনওরকম স্পোর্টস ইভেন্টই আয়োজন সম্ভব নয়।” কিন্তু প্রশ্ন হল পিছিয়ে গেলেও কবে বসবে আইপিএলের আসর? আদৌ বসবে তো? সৌরভের উত্তর, “সোমবার বিসিসিআই কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। তারপর এ নিয়ে আপডেট দেব। তবে সত্যি কথা বলতে কী, গোটা বিশ্ব যখন একসঙ্গে থমকে যায়, তখন আর খেলার ভবিষ্যৎ কী করে থাকবে!” ফলে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে এটুকু পরিষ্কার যে মে মাস পর্যন্ত আইপিএল হওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আর আইপিএল বাতিল হবে কিনা তার জন্য সকলকেই অপেক্ষা করতে হবে বিসিসিআইয়ের পরবর্তী বৈঠক পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃলকডাউনেও চলছে ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প, সম্ভব করে দেখালেন ধোনি ও অশ্বিন