২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'এমএস ধোনি, দি আনটোল্ড স্টোরি'-র ইউএসপি ছিল যেমন ধোনির জীবনের অজানা কথা। তেমনই সমানভাবে প্রযোজ্য ছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে বড় পর্দার ধোনি হয়ে ওঠা। প্লেয়ারদের জীবন নিয়ে সিনেমা নতুন কিছু নয়। তবে ধোনির বায়োপিক ছাপিয়ে গিয়েছিল সবকিছুকে। সেই বছর বক্স অফিসের বিচারে ৫ নম্বরে ছিল নীরজ পাণ্ডের এই ছবি। দুর্দান্ত অভিনয়ের সুবাদে স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। কিন্তু তার মনের ভিতর যে এমন উথাল পাথাল চলত তা অজানা ছিল সকলেরই।
আরও পড়ুনঃসুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারতীয় ক্রিকেটাররা
ধোনির মত শান্ত, স্থিতধী, কৌশলী চরিত্র বড় পর্দায় বাস্তবায়িত করতে যে নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন সুশান্ত তা এক কথায় অনবদ্য। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর নিখাদ প্রেমই এই কাজ করতে সাহায্য করেছিল তাকে। অভিনেতা ও ক্রিকেটারের মধ্যে যে তফাৎটা থাকে, সেটাকে তিনি যথাযথভাবে মুছে ফেলতে পেরেছিলেন। সুশান্ত থেকে ধোনি হয়ে ওঠার পেছনে আরেক জন লোকের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তিনি ভারতের প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক কিরণ মোরে। ১৩ মাস ধরে ধরে কিরণ মোরের সঙ্গে থেকে উইকেট কিপিংয় শিখেছিলেন সুশান্ত। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অনুশীলন করতেন সুশান্ত। ধোনির হেলিকপ্টার শট প্রতিদিন অনুশীলন করেছেন কয়েকশো বার। সবকিছুই পর্দায় সুশান্তকে বাস্তবের ধোনি বানিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃওয়াইড বলে ফ্রি হিট সহ ৬টি নতুন নিয়ম আনার পরিকল্পনা বিগ ব্যাশ লিগের
আরও পড়ুনঃশুরু হতে চলেছে ইপিএল,চিনে নিন প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সেরা ১০ কোচেদের
সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন কিরণ মোরেও। যিনি সুশান্তকে এমএসডি হতে সাহায্য করেছিলেন। ট্যুইটারে শোক প্রকাশ করে কিরণ মোরে লিখেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে এটা আমাকে অত্যন্ত মর্মাহত করেছে। সুশান্ত সিং রাজপুত এমন একজন অভিনেতা, যাকে আমি এমএস ধোনির চরিত্রের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম।আমি জানি না আমি এবং যারা ওকে চেনে সবাই কীভাবে এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারব। বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলে বন্ধু।’ শুধু কিরণ মোরে নয়, ধোনি ভক্তরাও ভেঙে পড়েছেন এই খবরে। শোনা যায় ধোনি জীবনের পরবর্তী অংশ নিয়ে সিক্যুয়াল বানানোর কথাও ভেবেছিলেন নীরজ পাণ্ডে। কিন্তু পর্দার ধোনিকে অসম্পূর্ণ রেখেই চলে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।