একে করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। যার জেরে বন্ধ সমস্ত ধরনের স্পোর্টিং ইভেন্ট। অন্য়ান্য স্পোর্টসের মতই মাঠে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটারের অস্বস্তি আরও বাড়াল নাডা। চেতেশ্বর পূজারা, রবীন্দ্র জাদেজা, কেএল রাহুল, স্মৃতি মান্ধানা এবং দীপ্তি শর্মা ভারতের পুরুষ ও মহিলা টিম মিলিয়ে এই ৫ জন ক্রিকেটারকে নোটিস ধরাল জাতীয় অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি। যদিও এক্ষেত্রে ক্রিকেটারেদের কোনও দোষ নেই। এই ৫ ক্রিকেটারের ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ বোর্ড সময় মত না পাঠানোর কারণেই এই বিপত্তি।
আরও পড়ুনঃনিজেদের সময়ের সঙ্গে আধুনিক ক্রিকেটের তুলনা সানির, কী জানালেন কিংবদন্তী
এই পাঁচ ক্রিকেটারের ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ জানতে চেয়েছিল নাডা। ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ বলতে ক্রিকেটাররা কখন, কোথায় কী করছেন সেই নিয়ম মেনে নাডাকে জানাতে হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ফর্মের জটিলতা ও সময়ের অভাবে তা পূরণ করে উঠতে পারে না নাডা। সে সেক্ষেত্রে ক্রিকেট সংস্থা সেই ফর্ম ফিলআপ করে দেয়। এক্ষেত্রে ভারতীয় বোর্ড নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটারের তথ্য জমা দেয়নি। যার ফলস্বরূপ ডোপ রিবোধী আইন অমান্য করার অভিযোগে কোনও খেলোয়াড়কে দু’বছর পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হতে পারে। তবে গোটা বিষয়টি সামলাতে দ্রুত আসরে নামে বিসিসিআই। নোটিসের উত্তরে ভারতীয় বোর্ড সরকারিভাবে লিখে জানায় যে, পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত গন্ডগোলের কারণেই ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ সংক্রান্ত তথ্য দেরি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃটি-২০ বিশ্বকাপে ধোনিকেই উইকেট কিপিংয়ে দেখতে চান কামরান আকমল
তবে বিসিসিআইয়ের এই যুক্তি নাডার পক্ষ থেকে মানা হবে কিনা তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। নাডার ডিজি নবীন আগরওয়াল জানিয়েছেন,'দু’রকমভাবে নাডার ফর্ম ভরা যায়। হয় সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়রা তা ভরে, নইলে তাদের সংস্থা। অনেক সময়ই প্লেয়াররা সময়ের অভাবে কিংবা ফর্মের জটিলতার জন্য সেটা বুঝতে পারে না। তখন তাদের হয়ে সেই সংস্থা কাজটা করে দেয়। ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একইরকম। অতএব, দায়টা এক্ষেত্রে সংস্থার। ভারতীয় বোর্ড কেন ক্রিকেটারদের তিন মাসের ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস’ দেয়নি? তরফে এই কারণটাই তুলে ধরা হয়েছে। তবে তা মানা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' বিসিসিআইয়ের এই গাফলতির ফলে চেতেশ্বর পূজারা, রবীন্দ্র জাদেজা, কেএল রাহুল, স্মৃতি মান্ধানা এবং দীপ্তি শর্মাকে কোনও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয় কিনা সেটাই দেখার। তবে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে।