১৯৯৯ ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়াম। ভারত -পাকিস্তান টেস্টে সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচ। শেষ ইনিংসে ভারতের দেওয়া পাহাড় প্রমাণ ৪২০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ২০৭ রানেই গুটিয়ে গেল পাকিস্তান দল। আর বল হাতে অন্য কেউ নয়, সেদিন একা অনিল কুম্বলের স্পিনের ভেলকির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন গোটা পাক দল। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে ১০ উইকেট নেওয়ার অনন্য নজির গড়েছিলেন জাম্বো। ইংল্যান্ডের জিম লেকারের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এমন কৃতিত্বই অনিল কুম্বলেকে ক্রিকেট ইতিহাসে আলাদা করে চিহ্নিত করে রেখেছে।
আরও পড়ুনঃএবার বীরেন্দ্র সেওয়াগকে মারার হুমকিও দিলেন শোয়েব আখতার
তবে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়লেও, অনিল কুম্বলেকে শুনতে হয়েছিল,পিচ ও আম্পায়ার এভি জয়প্রকাশের বদান্যতা পেয়েছিলেন তিনি। কারণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়, কুম্বলের ১০টি শিকারের ক্ষেত্রেই আঙুল তোলা জয়প্রকাশও ছিলেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। যদিও কিংবদন্তী লেগ স্পিনার এই সব সমাসোচনাকা পাত্তাই দেননি। তিনি এগিয়ে গিয়েছেন নিজের লক্ষ্যে বর্তমানে খেলাকে বিদায় জানালে ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর শিরোপা তার দখলে। লাল বলের ক্রিকেটে ১৩২ টি ম্যাচ খেলে অনিল কুম্বলের ঝুলিতে রয়েছে ৬১৯টি উইকেট।
আরও পড়ুনঃসৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘোষণা,এবছর আমিরশাহিতেই হবে মেয়েদের আইপিএল
আরও পড়ুনঃরোহিত শর্মাকে হুমকি দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং, বলেছিলেন 'আমার বোনের থেকে দূরে থাকো'
তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেদিনের ম্যাচে ১০ উইকেট পাওয়ার জন্য দলের সতীর্থদেরই কৃতিত্ব দিয়েছেন কুম্বলে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে কুম্বলে স্পষ্ট জানালেন, ‘সেই সময় কথা উঠেছিল যে, এভি জয়প্রকাশ ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা বলে বাড়তি সুবিধা পেয়েছি। তবে আমি মনে করি, পিচের দোষ দেওয়া বা আম্পায়ারের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা কখনই যুক্তিযুক্ত নয়। যদি ডিআরএস থাকত, সেই ম্যাচে অনেক আগেই হয়ত ১০ উইকেট পেয়ে যেতাম। আমি এভাবেই বিষয়টিকে দেখি।’ কুম্বলের এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার তিনি কতটা নিজের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। সেই কারণেই তিনি শুধু ভারতীয় নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্ত সেরা স্পিনার।