সংক্ষিপ্ত
- সেওয়াগের করা বাপ বাপ হোতা হ্যায় স্লেজিং ফের অস্বীকার শোয়েবের
- পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলে যোগ দিয়ে অস্বীকার করেন শোয়েব
- একইসঙ্গে সেওয়াগ মাঠেই মারার হুমকি দিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস
- আখতার যে এই প্রসঙ্গ নিয়ে খবই ক্ষুব্ধ তাও পরিষ্কার দৃকরেন এদিন
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই রক্ত গরম। শুধু ব্যাট-বলের লড়াই নয়, এই ম্যাচ যুদ্ধের থেকে কম কিছু নয়। আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বাকযুদ্ধ হবে না, তা আবার হয় নাকি। সে ১৯৯৬ সালে আমির সোহেল বনাম ভেঙ্কটেশ প্রসাদ হোক, কিংবা বীরেন্দ্র সেওয়াগ বনাম শোয়েব আখতার হোক অথবা গৌতম গম্ভীর বনাম শাহিদ আফ্রিদি। ভারত-পাক ক্রিকেটারদের মধ্যে স্লেজিং ও বাকযুদ্ধ চলে আসছে দশকের পর দশক ধরে। এই সকল ঘটনাবলীর মধ্যে আমির সোহেল বনাম ভেঙ্কেশ প্রসাদের লড়াইকে প্রথম স্থানে রাখলে, দ্বিতীয় স্থানে অবশ্যই রাখতে হবে বীরেন্দ্র সেওয়াগ বনাম শোয়েব আখতারেরের লড়াইকে। যেখানে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসকে বীরু বলেছিলেন, 'বাপ, বাপ হোতা হ্যায়'।
আরও পড়ুনঃ২ বছরের জন্য জবি জাস্টিনের সঙ্গে চুক্তি করল এটিকে মোহনবাগান
কয়েক বছর আগে এর অনুষ্ঠানে সেওয়াগ শাহরুখ খানকে বলেছিলেন সেই বাদানুবাদের কথা। সেওয়াগ বলেছিলেন, ২০০৩ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়নে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে লাগাতার বাউন্সার মেরে চলেছেন শোয়েব আখতার। যাতে পুল বা হুক করতে গিয়ে ক্যাচ চুলে দেন সেওাগ। কিন্তু শোয়েবের ফাঁদে পা দেননি সেওয়াগ। লরং এগিয়ে গিয় আখতারকে বলেছিলেন,'ও তেরা বাপ খারা হ্যায় নন–স্ট্রাইকিং এন্ড পে। উসকো বোল ও মরকে দিখায়েগা।' বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, নন স্ট্রাইকিং এন্ডে তোর বাবা দাঁড়িয়ে আছে। ওকে বল ও শট মেরে দেখাবে! সেই সময় নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। পরে সচিনকে বাউন্সার দিলে তা সোজা স্টেডিয়ামে পাঠিয়ে দেন মাস্টার ব্লাস্টার।সেই সময় শোয়েব আখতারের কাছে গিয়ে সেওয়াগ বলেছিলেন,'বেটা বেটা হি হোতা হ্যায়। আউর বাপ বাপ হোতা হ্যায়।' যদিও এরম কিছু কোনও দিনও ঘটেইনি বলে বারবার অস্বীকার করেছে শোয়েব আখতার।
আরও পড়ুনঃমেসিকে দলে পেতে রেকর্ড অর্থ নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে ইন্টার মিলান, যা রোনাল্ডোর থেকে অনেক বেশি
আরও পড়ুনঃচেলসিকে হারিয়ে এফ.এ কাপ ফাইনালে জয় আর্সেনালের
সম্প্রতি পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। সেই সময় সঞ্চালক শোয়েবের কাছে জানতে চান সত্যি তেমন কিছু ঘটেছিল কিনা? শোয়েব আখতার ফের তা অস্বীকার করার পাশাপাশি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন,'এরকম কিছুই কখনও হয়নি। এসব ওর মনগড়া কথা। এমন কোনও কথা মাঠে বললে আমি ওকে ছেড়ে দিতাম নাকি! মাঠেই ও আমার হাতে মার খেত। তার পর হোটেলে গিয়েও ওকে মেরে আসতাম। ও আসলে একটা মিথ্যে গল্প সাজিয়ে বলছে সব জায়গায়।' সেওয়াগকে শোয়েব আখতার মাার কথা বলায় পুরনো ঘচনা নতুন করে মাত্রাল পেয়েছে। তৈরি হয়েছে বিতর্কও। কেনও হছাৎ মারার কথা বললেন শোয়েব তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।