রবিবার কলকাতায় (Kolkata) টি২০আই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand)। এদিন সকালে সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ক্যাম্পাসের (Jadavpur University Second Campus) মাঠে প্রস্তুতি সারল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)।
কলকাতায় (Kolkata) ক্রিকেট জ্বর। কোভিড-১৯ মহামারির (Covid-19 Pandemic) জেরে দীর্ঘদিন শহরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়নি। রবিবার, সন্ধ্যায় ইডেন গার্ডেন্সে টি২০আই সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand)। তার আগে এদিন সকালে নিউটাউনের হোটেল থেকে সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ক্যাম্পাসের (Jadavpur University Second Campus) মাঠে প্রস্তুতি সারল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)।
নিউজিল্যান্ড দলের অনুশীলনে একটা অদ্ভূত বিষয় দেখা যাচ্ছে। টি২০আই সিরিজে কেন উইলিয়ামসনের (Kane Williamson) মতো বেশ কয়েকজন কিউই তারকা ক্রিকেটার খেলছেন না। তবে, তাঁরা দলে ফিরবেন টেস্ট সিরিজে। তাই বর্তমানে দলের সঙ্গেই রয়েছেন তাঁরা। ব্ল্যাকক্যাপস শিবিরের অনুশীলনে একদিকে যেমন চলছে টি২০ ম্যাচের প্রস্তুতি, অন্যদিকে কেনের মতো তারকারা তৈরি হচ্ছেন লাল বলের ক্রিকেটের জন্যও।
আরও পড়ুন - Ind vs Nz- কোভিড আবহে ইডেনে ম্য়াচ, দর্শকদের মানতেই হবে এই নিয়মগুলি
আরও পড়ুন - IND vs NZ, 3rd T20: ইডেনে নয়, যাদবপুরের মাঠে অনুশীলন সারল কিউইরা
কলকাতার ম্যাচের জন্য, শনিবার দুপুরেই রাঁচি (Ranchi) থেকে বিশেষ বিমানে শহরে এসে পৌঁছেছিল দুই দল। মহামারির মধ্যেও বিমানবন্দরে দুই দলের ক্রিকেট তারকাদের দেখার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন বেশ কিছু ক্রিকেট ফ্যান। তাঁদের বর্ষধ্বনির মধ্যেই প্রথমে একে একে বাইরে আসেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) সদস্যরা, তারপর ব্ল্যাকক্যাপস (Blackcaps) বাহিনী। বিমানবন্দর থেকে টিম বাসে করে সোজা হোটেলে চলে যায় দুই দল। বিকালে দুই দলের কেউই নেট অনুশীলন করেনি। হাল্কা শারীরিক কসরত করতে দেখা গিয়েছে ক্রিকেটারদের।
তবে ভারতীয় দলের নতুন প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) চলে এসেছিলেন ইডেন গার্ডেন্সে। আর বহু স্মৃতি বিজড়িত ইডেনে পা রেখেই তিনি সোজা চলে যান পিচ পরিদর্শনে। সঙ্গে ছিলেন ইডেন গার্ডেন্সের প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় (Sujan Mukherjee) এবং ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর (Vikram Rathore)। রীতিমতো ঝুঁকে পড়ে পিচে হাত দিয়ে দিয়ে রণভূমি পরীক্ষা করেন দ্রাবিড়। সুজন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ইডেনে এবার হার্ড পিচ তৈরি করা হয়েছে। বল সহজে ব্যাটে আসবে, তাই ব্যাটারদের প্রচুর রান করার সুযোগ রয়েছে। কোনও একটি দল অন্তত ১৬০-এর উপরে স্কোর করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়পুরে ভারত ৫ উইকেটে জিতেছিল। প্রথমে ব্যাট করে গাপ্টিলের ৪২ বলে ৭০ রান এবং মার্ক চ্যাপম্যানের ৫০ বলে ৬৩ রানের ইনিংসের জোরে ১৬৪ রান তুলেছি কিউইরা ভারত সূর্যকুমার যাদবের ৪০ বলে ৬২ এবং রোহিত শর্মার ৩৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংসের পরও হেরে যেতে পারত। ঋষভ পন্থ ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করেন। পরের ম্যাচে রাঁচিতেও ভারত ৭ উইকেটে জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছে। আগে ব্যাট করে ব্ল্যাকক্যাপসরা ১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল। কেএল রাহুলের ৪৯ বলে ৬৫ এবং রোহিত শর্মার ৩৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংসের জোরে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। এদিন জিতলে হোয়াইটওয়াশ সম্পূর্ণ হবে।