ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে গিয়ে তাদের হোয়াইট ওয়াশ করার পর এবার ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইট ওয়াশ করল বিরাট কোহলির ভারতীয় দল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার পর দুটি টেস্ট সিরিজ খেললো ভারতীয় দল। দুটো থেকেই ১২০ পয়েন্ট আদায় করে অন্য দলগুলোর ধরা ছোঁয়ার বাইরে চটলে গেল বিরাটের দল। ২৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারতীয় দল। কেন বর্তমান ক্রিকেট ভারত এক নম্বর টেস্ট দল সেটা নিয়ে আর কেউ প্রশ্ন তোলার সাহস আপাতত দেখাবে না। ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টেস্টর চতুর্থ দিনটা ছিল নেহাতই নিয়ম রক্ষার। দুটি উইকেটের প্রয়োজন ছিল। মাঠে নামার পর মাত্র ২ ওভারেই সেই কাজ শেষ করে দিল টিম ইন্ডিয়া। ঘরের মাঠে টানা ১১টা সিরিজ জিতে নিল ভারতীয় দল। ২০১৩ থেকে ২০১৯। ঘরের মাঠে একটাও সিরিজ হাতছাড়া করেনি টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন - বিসিসিআই সভাপতির প্রথম পদক্ষেপ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সৌরভ
খেলার তৃতীয় দিনই কাজের কাজটা শেষ করে দিয়েছিল ভারতীয় দল। তৃতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকার সব আশা শেষ করে দিয়েছিলেন সামি-উমেশরা। প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস ১৬২ রানে শেষ করে দেওয়ার পর, তৃতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল অন করিয়েও ফাফের দলের আট উইকেট তুলে নেয় ভারত। তাই চতুর্থ দিনের শুরু থেকে একটাই প্রশ্ন ছিল, কত ওভারে খেল শেষ হবে। কেউ করছিলেন মিনিটের হিসেব, আবার কেউ ওভারের হিসেব। চতুর্থ দিনের প্রথম ওভার করলেন সামি। দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসে জোড়া উইকেট তুলে ম্যাচ শেষ করেদিলেন শাহবাজ নদিম।
আরও পড়ুন - রবি শাস্ত্রীর ঘুমের দাম কত, প্রশ্নের ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একাধিক তারকা অবসর নিয়েছেন, নতুন ক্রিকেটারা সেই জায়গায় আসছেন। তবে ভারত সফরে অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি হতাশ করলেন। জুনিয়রদের সামনে আদর্শ হয়ে উঠেতে পারলেন না তিনি। অন্যদিকে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে টিম ইন্ডিয়া ওপেনার সমস্যার সমাধান পেয়ে গেল। রোহিত-ময়ঙ্ক। সিরিজের সব থেকে বেশি রান করার তালিকায় সবার ওপর দুই ভারতীয় ওপেনার। সিরিজে ৩২ উইকেট নিলেন ভারতীয় স্পিনাররা। আর ২৬ উইকেট পেসারদের।
আরও পড়ুন - আগেই গেছে অধিনায়কত্ত্ব, এবার পাকিস্তান দল থেকেও বাদ সরফরাজ আহমেদ