
কেন তারা ডিফেন্ডিং টি২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন , তা ভারত সফরে এসে প্রথম টি২০ ম্য়াচেই প্রমাণ করে দিল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের দেওয়া ২০৯ রানের বিশাল টার্গেট অনায়েসেই তাড়া করে ৪ উইকেটে জিতল ব্যাগি গ্রিণরা। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করল টিম ইন্ডিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া কেএল রাহুল করেন ৩৫ বলে ৫৫ ও সূর্যকুমার যাদব করেন ২৫ বলে ৪৬। রান তাড়া করতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় অস্ট্রেলিয়া। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন ক্যামেরন গ্রিন। এছাড়া ২১ বলে ৪৫ রান করেন ম্যাথু ওয়েড ও ২৪ বলে ৩৫ রান করেন স্টিভ স্মিথ। এই জয়ের ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। ১১ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে আউট হন রোহিত শর্মা। বড় রান পাননি বিরাট কোহলিও। দলের ৩৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২ রান ন্য়াথান এলিসের বলে আউট হন তিনি। এরপর কেএল রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। ব্যক্তিগত অর্ধশতরান করেন কেএল রাহুল। দলরে ১০৩ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৫৫ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে আউট হন কেএল রাহুল। এরপর সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে বড় পার্টনারশিপ আর আসেনি। ব্যক্তিগত ৪৬ রান করে ক্যামরন গ্রিনের বলে আউট হন সূর্যকুমার যাদব। ১২৬ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। একদিক থেকে ঝোড়ো গতিতে রান করে ভারতীয় দলের ইনিংস সেই সময়একাই টানতে থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে অপর দিকে অক্ষর প্যাটেল ও দীনেশ কার্তিক দ্রুত ফেরেন সাজঘরে। দুজনেই ৬ রান করে ন্যাথান এলিসের শিকার হন। তবে অপরদিকে হার্দিক পান্ডিয়া নিজের অনবদ্য ব্যাটিং চালিয়ে যান। মাত্র ২৫ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। শেষের দিকেও নিজের ব্যাটিং তাণ্ডব বজায় রাখেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২০৮ রানে ৬ উইকেটে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন দুই অজি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ক্যামেরন গ্রিন। ব্শ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন দুজন।৩৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ২২ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন ফিঞ্চ। এরপর ক্যামেরন গ্রিন ও অ্যারন ফিঞ্চ মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। দ্রুত গতিচে নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন গ্রিন ও স্মিথ। একের পর এক অনবদ্য শট খেলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের কোনও সুযোগই দেননি তারা। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন গ্রিন। দলের ১০৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬১ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন ক্যামেরন গ্রিন। পার্টনারশিপ ভাঙতে সাজঘরে ফেরেন স্টিভ স্মিথও। ৩৫ রান করে উমেশ যাদবের বলে আউট হন তিনি। ১২২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে অজিদের। ১২৪ রানেই চতুর্থ উইকেট পড়ে। ১ রান করে উমেশ যাদবের দ্বিতীয় শিকার হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর জস ইংলিশ ১৭ রান করেন। অক্ষর প্যাটেলের তৃতীয় শিকার হন তিনি। ১৪৫ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট। এরপর ম্য়াথু ওয়েড ও ডিম ডেভিড মিলে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়। দুজন মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন। ২০৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। ১৮ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট হন টিম ডেভিড। ১৯.২ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় অজিরা। ৪৫ রান করে ম্য়াথু ওয়েড ও ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন প্যাট কামিন্স।