টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করল পাকিস্তান। জয়ের জন্য ভারতের দরকার ১৬০ রান।
টসে হেরে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেছিলেন, তাঁরা ১৬০ থেকে ১৭০ রান করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু তিনি নিজে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। পাকিস্তানের ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাবরকে (০) এলবিডব্লু করে দিয়ে ভারতের হয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেন ভারতের তরুণ পেসার আর্শদীপ সিং। প্রথম বলেই আউট হয়ে যান বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার আখ্যা পাওয়া বাবর। এরপর চতুর্থ ওভারে অপর ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ানকে (৪) ফিরিয়ে দেন আর্শদীপ। ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেই সময় মনে হচ্ছিল, হয়তো খুব বেশি রান করতে পারবে না পাকিস্তান। কিন্তু পাল্টা লড়াই শুরু করেন শান মাসুদ ও ইফতিকার আহমেদ। ৩৪ বলে ৫১ রান করে ফিরে যান ইফতিকার। তিনি অক্ষর প্যাটেলের ওভারে ২১ রান নেন। তবে ইফতিকার ফিরে যাওয়ার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। পরপর ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ১৪-তম ওভারে প্রথমে শাদাব খান (৫) এবং এরপর হায়দার আলিকে (২) ফিরিয়ে দেন। ১৬-তম ওভারে ফের আঘাত হানেন হার্দিক। এবার তাঁর শিকার হন মহম্মদ নওয়াজ (৯)। পরের ওভারে আসিফ আলিকে (২) ফিরিয়ে দেন আর্শদীপ। মাসুদ অবশ্য পাকিস্তানের রান যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ১৯-তম ওভারে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন মাসুদ। তাঁর ও ইফতিকারের ইনিংসের জন্যই ১৫০ পেরিয়ে যায় পাকিস্তানের স্কোর।
পাকিস্তানের ইনিংসের শেষদিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তবে শেষ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শাহিন। তিনি ৮ বলে ১৬ রান করেন। এরপর হ্যারিস রউফ ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে পাকিস্তান। মাসুদ ও ইফতিকারের লড়াকু ইনিংস ছাড়া পাকিস্তানের পক্ষে এই রান করা সম্ভব হত না।
ভারতের হয়ে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আর্শদীপ। ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হার্দিক। ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মহম্মদ শামি।
১৬০ রান করা খুব একটা কঠিন নয়, তবে পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ বেশ ভাল। ফলে ভারতের ব্যাটারদের ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন-