পাকিস্তান, বাংলাদেশের অনেকেই রবিবার থেকে দাবি করে আসছেন, আম্পায়ারের জন্যই জিতেছে ভারত। সেই একই সুর শোয়েব আখতারের গলাতেও।
খেলার ফলাফল যা-ই হোক না কেন, সেটা মেনে নেওয়াই স্পোর্টসম্যান স্পিরিট। আম্পায়ারের ভুলে অনেকবার ম্যাচ হারতে হয়েছে ভারতকে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কিন্তু তাঁরা কোনওদিন বলেননি বিপক্ষ দল আম্পায়ারের জন্যই জয় পেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান, বাংলাদেশ ম্যাচ হারলেই আম্পায়ারকে কাঠগড়ায় তোলে। তারা ম্যাচ হারার জন্য কখনও অন্য কোনও কারণ দেখতে পায় না। রবিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দল অসাধারণ খেলে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দেওয়ার পর থেকে ফের আম্পায়ারিং নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তানের অনেকেরই দাবি, আইসিসি সবসময় ভারতকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেয়। তার ফলেই ম্যাচ জেতে ভারত। আম্পায়ার বাড়তি সুবিধা পাইয়ে না দিলে ভারতের পক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো এই ধরনের মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতারও। তাঁরও দাবি, মেলবোর্নে আম্পায়াররা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ফলেই ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান।
বিতর্কের সূত্রপাত ভারতের ইনিংসের শেষ ওভারে। মহম্মদ নওয়াজের একটি বলে ছক্কা মারেন বিরাট কোহলি। বলটি তাঁর কোমরের উপরে ছিল। ছক্কা মারার পর আম্পায়ারের কাছে নো বল দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন বিরাট। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে নো বল দেন আম্পায়ার। ফলে এক রান এবং ফ্রি হিট পায় ভারত। পাকিস্তানের সমর্থকদের দাবি, আম্পায়ার যদি এই নো বল না দিতেন, তাহলে ম্যাচ জিততে পারত না ভারত।
শোয়েবের দাবি, নওয়াজের বলে বড় শট খেলার জন্য বিরাট যেহেতু ক্রিজের বাইরে চলে এসেছিলেন, তাই নো বল দেওয়া উচিত হয়নি। ট্যুইটে এই প্রাক্তন পাক পেসার লেখেন, “আম্পায়ার ভাইয়েরা, একটু দেখে-শুনে নো বল ডেকো। তোমরা যে বলটা নো বলেছো, সেটা আদৌ নো বল ছিল না।” পরে অবশ্য এই ট্যুইট মুছে দেন শোয়েব। পরে তিনি লেখেন, “আম্পায়ার ভাইয়েরা, আজ রাতের জন্য তোমাদের ভাবনার খোরাক দিলাম।” এই ট্যুইটের সঙ্গে একটি ছবি দেন শোয়েব। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিরাটের বাঁ পা ক্রিজের বাইরে এবং তিনি যখন শট খেলছেন তখন বল তাঁর কোমরের উপরের উচ্চতায়। কিন্তু বিরাটের ডান পা তখনও ক্রিজে। এই ছবিতেই স্পষ্ট, বিরাট ক্রিজ ছাড়েননি। ফলে শোয়েব নিজে যে ছবি ট্যুইট করেছেন, তাতেই তাঁর দাবি নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-