টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়ে গিয়েছে রবিবার। কিন্তু দেশে দীপাবলির আবহেও এই ম্যাচ নিয়ে আলোচনা চলছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা ভারতের জয় নিয়ে মাতোয়ারা।
রবিবার টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে এই প্রতিযোগিতার শুরুটা করেছে ভারতীয় দল। বিরাট কোহলিরা ফের মাঠে নামবেন বৃহস্পতিবার। ফলে আপাতত ক্রিকেটপ্রেমীরা পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েই আলোচনা করছেন। ক্রিকেটাররাও যেন এখনও পাক ম্যাচে অসাধারণ জয়ের রেশ কাটাতে পারছেন না। রবিবার মেলবোর্নের নায়ক বিরাটই যেমন সতীর্থদের প্রশংসা করে চলেছেন। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে বিরাটের জুটিই ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছে। কিন্তু শেষ বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যে রান নিয়েছেন, সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই কারণেই এই সতীর্থেরও প্রশংসা করছেন বিরাট। তিনি অশ্বিনের ক্রিকেটীয় বুদ্ধির তারিফ করছেন। এ প্রসঙ্গে বিরাট বলেছেন, “আমি অশ্বিনকে বলেছিলাম কভারের উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু অ্যাশের মাথায় অন্য ভাবনা ছিল। ও অতিরিক্ত বুদ্ধি প্রয়োগ করে। ও সাহসিকতার পরিচয় দেয়। বলটা লাইনের মধ্যেই ছিল। সেটাকেই ওয়াইডে পরিণত করে অশ্বিন।”
রবিবার অশ্বিন যখন ব্যাট করতে যান, তখন জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১ বলে ২ রান। তার ঠিক আগের বলেই আউট হয়ে যান দীনেশ কার্তিক। ফলে অশ্বিনের উপর মারাত্মক চাপ ছিল। কিন্তু তিনি ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করেন। মহম্মদ নওয়াজ অশ্বিনকে প্রথম যে বলটি করেন, সেটি ছিল লেগ সাইডে। অশ্বিন বুদ্ধি করে ডানদিকে সরে যান। আম্পায়ার ওয়াইড বল দেন। ফলে ভারত ও পাকিস্তানের রান সমান হয়ে যায়। এরপর শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১ রান। সেই বলটি মিড অনের উপর দিয়ে পাঠিয়ে ছুটে ১ রান নেন অশ্বিন। অসাধারণ জয় পায় ভারতীয় দল। অশ্বিনের এই ১ রানটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। সেই কারণেই তাঁর প্রশংসা করছেন বিরাট।
নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে বিরাট বলেছেন, “এতদিন পর্যন্ত আমি বলে এসেছি, মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইনিংসটাই আমার সেরা। সেই ইনিংসে আমি ৫২ বলে ৮২ রান করেছিলাম। মেলবোর্নে আমি ৫৩ বলে ৮২ রান করলাম। ফলে এই দুই ইনিংসই সমান। কিন্তু আমি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ইনিংসটাকে একটু এগিয়ে রাখব। কারণ, এই ম্যাচের পরিবেশ-পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল।”
পাশে থাকার জন্য ক্রিকেটপ্রেমীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিরাট বলেন, “আপনারা সবসময় আমাকে সমর্থন করে গিয়েছেন। আমি যখন মাসের পর মাস খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখনও আপনারা আমার পাশে থেকেছেন। এর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন-