জোহানেসবার্গে (Johannesburg) অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কেএল রাহুল (KL Rahul)। একইসঙ্গে ব্য়াট হাতেও করেছেন অর্ধশতরান। একইসঙ্গে সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar) নজির স্পর্শ করলেন রাহুল।
জোহানেসবার্গে (Johannesburg) দ্বিতীয় টেস্টের শুরুতেই চমক দিয়েছিল ভারতীয় দলে (Indian Team)। বিরাট কোহলির (Virat Kohli)পরিবর্তে টস করতে আসেন কেএল রাহুল (KL Rahul)। কিন্তু আগে থেকে কোনও আঁচ পাওয়া না গেলেও কেন খেললেন না বিরাট কোহলি,তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। পরে জানা যায় পিঠের ব্যথায় কাবু বিরাট কোহলি। তাই শেষ মুহূর্তে তিনি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিরিজেই প্রথমবার ভারতীয় টেস্ট দলের সহ অধিনায়ক নির্বাচিত হয়ছিলেন কেএল রাহুল। এবার সেই সিরিজেই টেস্টে অধিনায়কত্ব করারও সুযোগ পেয়ে গেলেন কেএল রাহুল। শুধু সুযোগ পাওয়াই নয়, তিনি যে দায়িত্ব কাঁধে আসলে তা পালন করতে সক্ষম তাও প্রমাণ করলেন তরুণ ভারতীয় ওপেনার। একইসঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে ব্যাট করতে নেমে ছুয়ে পেললেন কিংবদন্তী সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar) রেকর্ড।
জোহানেসবার্গে টস জিতলেও ভারতীয় দলের ব্য়াটসম্য়ানরা কিন্তু ব্যর্থ হন। একমাত্র কেএল রাহুল ছাড়া অন্য কেউ বড় রান করতে পারেননি। ১৩৩ বলে লড়াকু ৫০ রান করেন তিনি।৯টি চারে সাজানো তার ইনিংস। অধিনায়ক হিসেবে ওপেন করে ও প্রথম বল খেলে অর্ধশতরান গাভাসকরের নজিরে ভাগ বসালেন রাহুল। এর আগে পর্যন্ত একমাত্র গাভাসকরই ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট ম্যাচে প্রথম বল খেলার পর অর্ধশতরান করেছিলেন। নিজের কেরিয়ারে ২৫ বার এই ঘটনা ঘটিয়েছেন গাভাসকর। ওয়ান্ডারার্সে গাভাসকরের মতোই রাহুলও দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি প্রথম বল খেলে ৫০ রান করেন। পার্থক্য এই যা গাভাসকর অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম টেস্টে অকল্যান্ডের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতরান করেছিলেন, তবে রাহুল অর্ধশত রান করেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
প্রসঙ্গত, জোহানেস বার্গে প্রথম ইনিংসে ২০২ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারতীয় দলষ। টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেএল রাহুল। শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও কেএল রাহুল। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৬ রানে প্রথম উইকেট পরে ভারতের। মায়াঙ্ক-রাহুল ছাড়া আর দুটি ছোট পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে রাহুল-হনুমা ও অশ্বিন-পন্থের মধ্যে। কিন্তু কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেনি ভারতীয় দল। কেএল রাহুলের অর্ধশতরান ও অশ্বিনের লড়াকু৪৬ রান ছাড়া ভারতীয় দলে বলার মত কিছুই নেই। ব্য়াট হাতে ফের ব্যর্থ হওয়ায় পুজারা,রাহানের কেরিয়ার নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মার্কো জানসেন। ৩টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা ও ডুয়ান অলিভিয়ের।