
প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরিয়নে (Centurion) দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। প্রথম এশীয় দল হিসেবে সেঞ্চুরিয়নে প্রোটিয়া বধ করেছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজে লিড পেয়েছে ভারতীয় দল। কিন্তু ২৯ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ জয় অধরাই থেকে গিয়েছে ভারতীয় দলের কাছে। ৩ জানুয়ারি থেকে জোহানেসবার্গে ( Johannesburg) শুরু হতে চলেছে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। নতুন বছরে পয়া জোহানেসবার্গে নতুন ইতিহাস তৈরির হাতছানি বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) দলের সামনে। অপরদিকে,সেঞ্চুরিয়নে নিজেদের গড়ে ভরাডুবির পর দ্বিতীয় টেস্টে ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকাও। প্রথম ম্যাচের ক্ষত ভুলে জোবানেসবার্গে প্লাটা আঘাত করতে বদ্ধপরিকর প্রোটিয়া ব্রিগেড।
ইতিহাসের হাতছানি ভারতের সামনে-
প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কার্যত একতরফা ম্যাচে দুর্মুশ করার পর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ভারতীয় দল। তবে অনুশীলনে কোনও খামতি দেনন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। জোহানেসবার্গে পৌছে বছরের প্রথম দিনই কঠোর অবুশীলন সেরেছে টিম ইন্ডিয়া। নতুন বছরে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই লক্ষ্য মেন ইন ব্লুদের। প্রথম ম্যাচে বোলররা অনবদ্য পারফর্ম করলেও, ব্যাটসম্যানদের ফর্ম নিয়ে একটি চিন্তা থেকেই গিয়েছে। প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কেএল রাহুলের শতরান ও মায়াঙ্ক আগরওয়ালের অর্ধশতরান ছাড়া কেউ বড় রান পাননি। জোহানেসবার্গের উইকেটেও ফাটল ও অসমান বাউন্স থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই অনুশীলনে বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পুজারা, অজিঙ্কে রাহানের যাবতীয় ভুল ত্রুটি শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দ্রাবিড়। নেটে পুরো দস্তুর ঘাম ঝড়িয়েছেন বোলরারাও। গতবার সফরে এই জোহানেসবার্গে টেস্ট জিতেছিল ভারত। এবারও সেই পয়া মাঠেই সিরিজ জিতে নতুন ইতিহাস লিখতে মরিয়া বিরাট ব্রিগেড।
লড়াই দিতে প্রস্তুত প্রোটিয়ারা-
যে মাঠে ২০১৪ সাল থেকে অপরাজিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, সেঞ্চুরিয়ন দুর্গ প্রথম ম্যাচে ভেঙে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। যার কারণে সমালোচনার সম্মুখীনও হতে হয়েছে ডিন এলগারের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে ঘরের মাছে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে প্রোটিয়া ব্রিগেডের। জোহানেসবার্গ টেস্ট ড অর ডাই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। সেই জোরে বোলিমংয়ের উপরই ভরসা করে দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের ছক কষছে রাবাডা, এনগিডি, জানসেনরা। পিচ থেকেও যাতে বাড়তি সুবিধা মেলে তেমনই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্য়াটিং বিভাগের ব্যর্থতার জন্য প্রথম টেস্ট হারতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। দ্বিতীয় টেস্টে ছন্দ ফিরতে মরিয়া মার্করাম, এলগার, পিটারসেন, ডুসেন, বাভুমারা। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই দিতে প্রস্তুত দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচ প্রেডিকশন-
প্রথম ম্যাচে সব বিভাগেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেক্কা দিয়েছে ভারতীয় দল। ব্যাটি-বোলিং প্রতিক্ষেত্রেই ভারতীয় দলের শক্তি যে প্রোটিয়াদের থেকে বেশ তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। দ্বিতীয় টেস্টেও যে অ্যাডভান্টেজ ভারতীয় দল তা মানছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।