
করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্কের কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team) দক্ষিণ আফ্রিকা সফর (South Africa Tour) যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কারণ ওমিক্রন আবিষ্কার হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে ও তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। যেই কারনে প্রাথমিকভাবে বিরাটদের সফর নিয়ে একটু ধীরে চল নীতি নিয়েছিল বিসিসিআই (BCCI)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড থেকে বিসিসিআইকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিৎ করায় ভারতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। সফর নিশ্চিৎ হলেও এবার পিছিয়ে গেল সিরিজ শুরুর তারিখ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোর্ড সচিব জয় শাহ (Joy Shah) জানিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছে। জয় শাহ বলেছেন,'দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডকে ভারতীয় বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, ভারতীয় দল সেখানে গিয়ে তিনটি টেস্ট এবং তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে। বাকি চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরে হবে।' তারপরই সূচিতে পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কথাজানা যায়। প্রথমে যে সূচি ঠিক হয়েছিল তাতে ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রথম টেস্ট হওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দলের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে হওয়ার কথা ছিল দ্বিতীয় টেস্ট। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বক্সিং ডে টেস্ট থেকে শুরু হবে সফর। সফর সূচি পিছিয়ে যাওয়ায় ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেও কিছু দিন পরে। ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দলের, সূচি পিছিয়ে যাওয়ায় আরও এক সপ্তাহ পরে যেতে পারে টিম ইন্ডিয়া। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন চূড়ান্ত সূচি জানাবে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। আরও কিছু দিন ওমিক্রনের উপর নজর রাখার পরই দলকেদক্ষিণ আফ্রিকা পাঠাবে বিসিসআই। সেই কারণেই সূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।
আরওপড়ুনঃIND vs SA: ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার দায়িত্বে রয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রেম স্মিথ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যার সম্পর্ক খুবই ভালো। সফরের নিশ্চয়তা দেওয়ার আগে ক্রিকেটারদের নিরপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ আস্থা দিয়েছে প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের পক্ষ থেকেও বার বার বলা হয়, তারা কোহলিদের স্বাস্থ্য নিয়ে যাবতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে। এমনকী সূচিও এমন ভাবে করা হয়েছে, যাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে কোহলীদের বেশি সফর করতে না হয়। নিশ্ছিদ্র জৈব দুর্গ গড়ে তোলার বিষয়ে একশো শতাংশ আশ্বাস পাওয়ার পরই ক্রিকেটারও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।