সংক্ষিপ্ত
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand) সিরিজ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) সফরে যাওয়ার কথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) । কিন্তু কোভিড ১৯ (Covid 19) -এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাড়িয়েছে আতঙ্ক। অবশেষে সফর নিয়ে নিশ্চয়তা দিল বিসিসিআই (BCCI)।
মুম্বইয়ে চলছে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) দ্বিতীয় টেস্ট (2nd Test)। কিউইদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শেষেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে (South Africa Tour) যাওয়ার কথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team)। কিন্তু করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে সফর ঘিরে বেশ কিছু দিন ধরেই তৈরি হয়েছে সংশয়। ওমিক্রনের প্রথম উৎপত্তি যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকায়, সেই কারণে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। ফলে ভারতীয় ক্রিকেট দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে দুই ক্রিকেট বোর্ডেরই বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছিল। অবশেষে শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি কী হবে তা বিচার্য বিষয় হলেও, আপাতত বিরাটদের প্রোটিয়া সফর নিয়ে সবুজ সংকেত দিল বিসিসিআই (BCCI)।
কলকাতায় শনি ও রবিবার ভারতীয় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের উপর। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আলোচনার বিষয় না থাকলেও, তা নিয়ে যে আলোচনা উঠবে এটা অনস্বীকার্য। এরই মাঝে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোর্ড সচিব জয় শাহ (Joy Shah) জানিয়ে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছে। জয় শাহ বলেছেন,'দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডকে ভারতীয় বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, ভারতীয় দল সেখানে গিয়ে তিনটি টেস্ট এবং তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে। বাকি চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরে হবে।' করোনার পরিস্থিতির কারনেই চারটি টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আপাতত না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। জয় শাহের আগে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে আশ্বাসবাণী দিয়েছিলেন।
বর্তমানে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার দায়িত্বে রয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রেম স্মিথ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যার সম্পর্ক খুবই ভালো। সফরের নিশ্চয়তা দেওয়ার আগে ক্রিকেটারদের নিরপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ আস্থা দিয়েছে প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের পক্ষ থেকেও বার বার বলা হয়, তারা কোহলীদের স্বাস্থ্য নিয়ে যাবতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে। এমনকী সূচিও এমন ভাবে করা হয়েছে, যাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে কোহলীদের বেশি সফর করতে না হয়। নিশ্ছিদ্র জৈব দুর্গ গড়ে তোলার বিষয়ে একশো শতাংশ আশ্বাস পাওয়ার পরই ক্রিকেটারও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয় তাহলে, সফর বাতিল হতে পারে।