আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ বুধবার মুখোমুখি দিল্লি ক্যাপিটালস ও পঞ্জাব কিংস (DC vs PBKS)। ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করে মাত্র ১১৫ রানে অলআউট মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দল। ৫৭ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় দিল্লি।
দলে করোনার থাবা, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত থাকা, সঠিকভাবে অনুশীলন না করতে পারা, এই সবকিছুকে থোরাই কেয়ার করে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ব্য়াটে-বলে অনবদ্য পারফরম্যান্স করল দিল্লি ক্যাপিটালস। ৯ উইকেটে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দলকে হারাল ঋষভ পন্থের দল। ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষ বলে অলআউট হয়ে ১১৫ রান করে পঞ্জাব কিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন জিতেশ শর্মা। এছাডা ২৪ রান করেন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। দিল্লি হয়ে দুটি করে করে উইকেট নেন খালিল আহমেদ, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্য়াটেল ও ললিত যাদব। একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। রান তাড়া করতে নেমে ১০ ওভার ৩ বলে ১ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় দিল্লি। দলের হয়ে ৩০ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এছাড়া ২০ বলে ৪১ রান করেন পৃথ্বি শ। পঞ্জাবের হয়ে একটি মাত্র উইকেট নেন রাহুল চাহার। জয়ে ফিরে খুশি দিল্লি শিবির।
এদিন ব্য়াট করতে নেমে কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেনি পঞ্জাব কিংস। ৩৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ে পঞ্জাব কিংসের। ৯ রান করে ললিত যাদবের বলে আউট হন শিখর ধওয়ান। দলের ৩৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৪ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন পঞ্জাব অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ইন ফর্ম লিয়াম লিভিংস্টোনও এদিন বড় রান করতে ব্যর্থ হন। ৪৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ২ রান করে অক্ষর প্য়াটেলের বলে আউট হন লিভিংস্টোন। দলের ৫৪ রানের মাথায় ৯ রান করে খালিল আহমেদের বলে আউট হন বেয়ারস্টো। এরপর জিতেশ শর্মা ও একদিক থেকে কিছুটা রান করার চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলের ৮৫ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট পড়ে পঞ্জাব কিংসের। ৩২ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট প্য়াটেলের বলে আউট হন জিতেশ শর্মা। এরপর ৯০ রানে পরপর দুটি উইকেট হারায় পঞ্জাব। ২ রান করে কুলদীপ যাদবের শিকার হন কাগিসো রাবাডা ও খাতা না খুলেই চায়নাম্যান স্পিনারের বলে বোল্ড হন ন্যাথান এলিস। ৯২ রানে অষ্টম উইকেট পড়ে পঞ্জাব কিংসের। ১২ রান করে খালিল আহমেদের বলে আউট হন শাহরুখ খান। ১০৮ রানে নবম উইকেট পড়ে। ১২ রান করে ললিত যাদবের বলে আউট হন রাহুল চাহার। এরপর ২০ তম ওভারের শেষ বলে ৯ রান করে রান আউট হন অর্শদীপ সিং। ১১৫ রানে থামে পঞ্জাবের ইনিংস। দিল্লি ক্যাপিটালসের টার্গেট ১১৬ রান।
ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্য়াট করতে শুরু করে দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই ওপেনাপ ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বি শ। বিধ্বংসী ব্য়াটিং করেন দুই তারকা। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির বন্যা ছুটি দেন পৃথ্বি ও ওয়ার্নার জুটি। একই কম রান তারউপর দিল্লি ওপেনারদের এমন ব্য়াটিং তাণ্ডবের কোনও জবাবা ছিল পঞ্জাব কিংসের বোলারদের সামনে। রাহুল চাহার বাদে সমস্ত বোলারদের নিয়ে ছেলে খেলা করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বি শ। পাওয়ার প্লে শেষের আগেও অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করার পাশাপাশি দিল্লির মোট স্কোরের অর্ধেকের বেশি রান তুলে ফেলে দিল্লি ক্যাপিটালস। অবশেষে সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে ঋষভ পন্থের দলের। দলের ৮৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগচ ৪১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন পৃথ্বি শ। ৭টি চার ও একটি ছয় দিয়ে সাজানো তার ইনিংস। পৃথ্বি শ আউট হলেও এরপর শরফরাজ খানকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার। নিজের আক্রমণাত্মক শট চালিয়ে যান তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শরফরাজ খান। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করে ফেলেন অজি তারকা। শেষ পর্যন্ত ১১ তম ওভারে জয়ের লক্ষ্য পৌছে যায় দিল্লি ক্য়াপিটালস। ৬০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১০টি চার ও একটি ছয় মারেন তিনি। এছাড়া ১২ রান করে অপরাজিত থাকে শরফরাজ খান। ৫৭ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্য়াচ জেতে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলের ষষ্ঠস্থানে উঠে এল ঋষভ পন্থের দল।