
লো স্কোরিং ম্য়াচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে আইপিএল ২০২২-এর প্রথম দল হিসেবে প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করল গুজরাট টাইটানস। কেএল রাহুলের দলকে ৬২ রানে হারাল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। একইসঙ্গে ফের লিগ টেবিলের প্রথম স্থানে উঠে এল গুজরাট। ম্যাচে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটানস অধিনায়র হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে গুজরাট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন শুবমান গিল। এছাড়া ২৬ রান করেন ডেভিড মিলার ও ২২ রান করেন রাহুল তেওয়াটিয়া। রান তাড়া করতে নেমে ১৩ ওভার ৫ বলে ৮২ রান করে অলআউট হয়ে যায় গুজরাট টাইটানস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন দীপক হুডা। কুইন্টন ডিকক ১১ ও আভেস খান ১২ ছাড়া কোনও ব্যাটসম্য়ান ১০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন রাশিদ খান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাট টাইটানস। ৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৫ রান করে মহসিন খানের বলে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর দলের ২৪ রানের মাথায় ১০ রান করে আভেস খানের বলে আউট হন ম্য়াথু ওয়েড। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও শুবমান গিলের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্কোর বোর্ড। ভালো শুরু করলেও ২৭ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। ১১ রান করে আভেস খানের বলে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। ৫১ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে । এরপর গুজরাটের ইনিংসের রাশ ধরেন শুবমান গিল ও ডেভিড মিলার। দুজন মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। অবশেষে ১০৩ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে গুজরাটের। ২৬ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন ডেভিড মিলার। এরপর ক্রিজে আসেন রাহুল তেওয়াটিয়া। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান শুবমান গিল। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। শেষের দিকে রানের গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করেন গিল ও তেওয়াটিয়া। তবে আটোসাঁটো বোলিং করেন লখনউ বোলাররা। শেষ ওভারে কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং করেন গিল ও তেওয়াটিয়া। ২০ ওভারে ১৪৪ রান করে গুজরাট। ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন শুবমান গিল ও ২২ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল তেওয়াটিয়া।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টাস। দলের ১৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ১১ রান ককে যশ দয়ালের বলে আউট হন কুইন্টন ডিকক। ২৪ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। ৮ রান করে মহম্মদ শামির বলে আউট হন কেএল রাহুল। করণ শর্মাকে উপরের দিকে ব্য়াটিংয়ে পাটানো হয়। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। দলের ৩৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪ রানে যশ দয়ালের দ্বিতীয় শিকার হন করণ শর্মা। এরপর একদিক থেকে দীপক হুডা দাঁড়িয়ে থাকলেও অপরদিক থেকে ধস নামে লখনউ ইনিংসে। ৪৫ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৫ রান করে রাশিদ খানের বলে আউট হন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। ৬১ রানের মাথায় ৮ রান করে সাই কিশোরের বলে আউট হন আয়ূশ বাদোনি। এরপর ৬৫ ও ৬৭ রানে পড়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেট। ২ রান করে রান আউট হন মার্কাস স্টয়নিস ও ১ রান করে রাশিদ খানের ববলে আউট হন জেসন হোল্ডার। দলের ৭০ রানে ব্যক্তিগত ১ রানে সাই কিশোরের বলে আউট হন মহসিন খান। ৭০ রানেই দলের নবম উইকেট পড়ে লখনউয়ের। ২৭ রান করে রাশিদ খানের তৃতীয় শিকার হন দীপক হুডা। ৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় লখনউ। ১২ রান করে রাশিদ খানের চতুর্থ শিকার হন আভেস খান। ৬২ রানে ম্য়াচ জিতে লিগ শীর্ষ গুজরাট টাইটানস।