আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ শুক্রবার মুখোমুখি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও গুজরাট টাইটানস (MI vs GT)। প্রথমে ব্য়াট করে ইশান কিশান, রোহিত শর্মা ও টিম ডেভিডের ব্য়াটে ভর করে ১৭ রান করল মুম্বই। গুজরাটের টার্গেট ১৭৮ রান। রান তাড়া করতে নেমে ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল অর্ধশতরান করলেও ৫ রানে ম্যাচ হারতে হয় গুজরাট টাইটানসকে।
রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ বা হারা ম্য়াত অন্যের দলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এবারের আইপিএলে জেতাটা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিল গুজরাট টাইটানস। কিন্তি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হল ঠিক উল্টোটা। শেষ ওভারে ৯ রান করতে পারল না গুজরাট। ৫ রানে ম্য়াচ জিতল রোহিত শর্মার দল। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান রান করেন ইশান কিশান। এছাড়া টিম ডেভিড ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা করেন ৪৩ রান। গুজরাট টাইটানসের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন রাশিদ খান। রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে গুজরাট টাইটানস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। ৫২ রান করেন শুবমান গিল। হার্দিক পান্ডিয়া করেন ২৪ রান। মরসুমের দ্বিতীয় জয় পেয়ে খুশি রোহিত শর্মার দল। আর নিজের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে জয়ে ইচ্ছা অধৎা থেকে গেল হার্দিকের।
এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালো করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলেন তারা। ঝড়ের গতিতে নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করে রোহিতই-ইশান জুটি। অবশেষে দলের ৭৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে রাশিদ খানের বলে বোল্ড হন রোহিত শর্মা। এদিন ব্য়াট হাতে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন সূর্যকুমার যাদব। ৯৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ১৩ রান করে প্রদীপ সাঙ্গোয়ানের বলে আউট সূর্যকুমার। এরপর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি ইশান কিশানও। দলের ১১১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রানে আলজারি জোসেফের বলে আউট হন ইশান। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন কায়রন পোলার্ডও। ৪ রান করে রাশিদ খানের বলে বোল্ড হন তিনি। ১১৯ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। এরপর ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরেন তিলক ভার্মা ও টিম ডেভিড। দুজন মিলে ৩৮ রান জুটিতে যোগ করেন দলের জন্য। ১৫৭ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ২১ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন তিলক ভার্মা। তবে অপরদিক থেকে নিজের আক্রমণাত্মক ইনিংস চালিয়ে যান ডিম ডেভিড। অন্যদিকে ড্যানিয়েল সামস খাতা না খুলেই লকি ফার্গুসনের শিকার হন। ১৬৪ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। শেষ পর্যন্ত টিম ডেভিডের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে ১৭৭ রানের ফাইটিং টোটাল খাড়া করে মুম্বই।
রান তাড়া করতে শুরুটা দুরন্ত করে করে করে গুজরাট টাইটানস। শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে ব্য়াট করেন দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল। রানে ফেরেন শুবমান গিল। দুজন বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট উপহার দেন সমর্থকদের। দ্রুত গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পবরণ করেন তারা। এরপর রানের গতি আরও বাড়ান। শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। নিজেদেরর অর্ধশতরান পূরণ করেন শুবমান গিল। অবশেষে ১০৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাটের। ৫২ রান করে মুরগান অশ্বিনের বলে আউট হন গিল। জুটি ভাঙতেই সাজঘরে ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। দলে ১১১ রানের মাথায় ৫৫ রান করে মুরগানন অশ্বিননের দ্বিতীয় শিকার হন ঋদ্ধি। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও সাই সুদদর্শন মিলে ইনিংসের রাশ ধরার চেষ্টা করেন। তবে ২৭ রান যোগ করার ভাঙে তাদের পার্টনারশিপ। ১৪ রান করে পোলার্ডের বলে হিট উইকেট হয়ে যান সাই সুদর্শন। ১৩৮ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। এরপর ক্রিজে আসেন ডেভিড মিলার। এদকদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যাচ্ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু দলের ১৫৬ রানে ব্যক্তিগত ২৪ রানে রাম আউট হন হার্দিক। এরপর রাহুল তেওয়াটি ও ডেভিড মিলার মিলে দলকে টানেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। শেষ ৩ রান করে রান আউট হন রাহুল তেওয়াটিয়া। আর রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে ড্যানিয়াল সামস দেন মাত্র ৩ রান। শেষ পর্যন্ত ৫ রানে ম্যাচ জেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।