আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে মুখোমুখি গুজরাট টাইটানস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর (RCB vs GT)। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৭০ রান করল আরসিবি। অর্ধশতরান করলেন বিরাট কোহলি ও রজত পাতিদার। রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্য়াচ জিতে নেয় গুজরাট।
কাজে এল না বিরাট কোহলি ও রজত পাতিদারের অর্ধশতরান। রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে আরসিবিকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা প্রায় পাকা করে নিল গুজরাট টাইটানস। ফের একবার ম্যাচ ফিনিশ করে নায়ক ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া। অপরদিকে টানা ৩ ম্য়াচ হেরে শেষ চারে ওঠার রাস্তা আরও কঠিন হল আরসিবির। ম্য়াচে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করল ব্যাঙ্গালোর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি ও ৫২ রান করেন রজত পাতিদার। এছাড়া ঝোড়ো ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল। গুজরাট টাইটানসের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন প্রদীপ সাঙ্গোয়ান। রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাট টাইটানস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন রাহুল তেওয়াটিয়া। এছাড়া ৩৯ রান করেন ডেভিড মিলার ও ৩১ রান করেন শুবমান গিল, ২৯ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা।
এদিন নিংসের শুরুটা ভালো হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। দ্বিতীয় ওভারে ১১ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। খাতা না খুলেই প্রদীপ সাঙ্গোয়ানের শিকার হন ফাফ ডুপ্লেসি। এরপর আরসিবির ইনিংসের রাশ ধরেন বিরাট কোহলি ও রজত পাতিদার। সেট হতেই নিজের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেন রজত পাতিদার। অপরদিকে অফ ফর্ম থেকে রানে ফেরার জন্য সাবধানী ক্রিকেট খেলেন কোহলি। নিজেদের মধ্যে বেশ কিছু অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন কোহলি-পাটিতাদর জুটি। নিজেদের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন বিরাট কোহলি ও রজত পাতিদার। এই মরসুমের এটি ছিল বিরাটের প্রথম হাফ সেঞুরি। আইপিএলে ১৪ ম্যাচ পর ৫০ করলেন কোহলি। ৯৯ রানের পার্টনারশিপ করার পর দ্বিতীয় উইকেট পড়ে আরসিবির। দলের ১১০ রানের মাথায় ৫২ রান করে প্রদীপ সাঙ্গোয়ানের বলে আউট হন রজত পাতিদার। এরপর ১২৯ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ৫৮ রান করে মহম্মদ শামির বলে আউট হন বিরাট কোহলি। দীনেশ কার্তিক ২ রান করে রাশিদ খানের বলে আউট হন। অপরদিকে গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল ছোট হলেও ১৮ বলে ৩৩ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন। দলের ১৫০ রানের মাথায় লকি ফার্গুসনের বলে আউট হন ম্য়াক্সওয়েল। শেষের দিকে মাহিপাল লোমর ১৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে গিয়ে আলজারি জোসেফের বলে আউট তিনি। ১৭০ রানের থামে আরসিবির ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল গুজরাট টাইটানসের দুই ওপেনার শুবমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। ওপেনিং জুটি অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন দুজন। বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন তারা। অবশেষে ৫১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাটের। ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গার বলে ২৯ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে বেশ কিছু উইকেট হারায় গুডজরাট। ৬৮ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।৩১ রান করে শাহবাজ আহমেদের বলে আউট হন শুবমান গিল। ব্য়াট হাতে ব্যর্থ হার্দিক পান্ডিয়া। দলের ৭৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩ রানে শাহবাজ আহমেদেক দ্বিতীয় শিকার হন গুজরাট অধিনায়ক। ডেভিড মিলার ও সাই সুদর্শন ইনিংস গড়ার চেষ্টা করলেও সফল হননি। ৯৫ রানের মাথায় ২০ রান করে হাসরঙ্গার বলে আউট হন সুদর্শন। এরপর আরসিবির ইনিংসের রাশ ধরেন ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া। দুজন মিলে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেন। চাপের মুহুর্তে আরও একবার দুরন্ত ল্যাট করে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করে মিলার-তেওয়াটিয়া জুটি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। ৩ বল বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতে নেয় গুজরাট। ৪৩ রানে অপরাজিত থাকে তেওয়াটিয়া ও ৩৯ রানে নাট আউট থাকেন ডেভিড মিলার।