
ব্যাটে-বলে দুরন্ত লড়াই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রথম ইনিংসের খেলায়। প্রথমে লখনউ বোলারদের অনবদ্য বোলিং, তারপর আরসিবির হয়ে ফাফ ডুপ্লেসির অধিনায়কোচিত ইনিংস। ম্যাচ টস দিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়র কেএল রাহুল। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। এছাড়া ২৬ করেন শাহবাজ আহমেদ, ২৩ রান করেন গ্লেন ম্যাক্স ওয়েল ও শেষের দিকে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন দীনেশ কার্তিক। লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন দুষ্মান্তা চামিরা ও জেসন হোল্ডার। একটি উইকেট নেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া।
এদিন ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। একের পর এক তারকা ব্য়াটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আরসিবি। ৭ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৪ রান করে দুষ্মান্তা চামিরার বলে আউট হন অনুজ রাওয়াত। এরপর ক্রিজে এসে খাতা না খুলেই দুষ্মান্তা চামিরার প্রথম বলে আউট হন বিরাট কোহলি। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম বলে আউট হলেন বিরাট। এরপর গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল এসে দ্রুত গতিতে রান করা শুরু করেন। কিন্তু বেশিক্ষণ তিনিও ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। ৩৭ রানের পার্টনারশিপ করার আউট হন ম্য়াক্সওয়েল। ৪৪ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে আরসিবির। ২৩ রান করে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার বলে আউট হন তিনি। এরপর সুযশ প্রভু দেশাইও বড় স্কোর করতে ব্যার্থ হন। ৬২ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ১০ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন সুযশ প্রভুদেশাই।
এরপর চাপের মুহূর্তে ফাফ ডুপ্লেসির সঙ্গে ইনিংসের রাশ ধরেন শাহবাজ আহমেদ। প্রথমে একটু ধীর গতিতে শুরু করলেও পরের দিকে সেট হওয়ার পর নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। আক্রণাত্মক শট খেলেন ডুপ্লেসি ও তাকে সঙ্গ দেন শাহবাজ আহমেদ। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। নিজের হাফ সেঞ্চুরিও পূরণ করেন আরসিবি অধিনায়ক। অবশেষে ৭০ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। দুর্ভাগ্যবশত ব্যক্তিগত ২৬ রানে রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান শাহবাজ আহমেদ। এরপর আরসিবির স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান ডুপ্লেসি ও দীনেশ কার্তিক। দুজনে মিলে দ্রুত গতিতে ৪৯ রানের পার্টনারশিপ করেন। শেষ ওভারে বিগ হিট করতে গিয়ে শতরান থেকে মাত্র ৪ রান দূড়ে থামেন ডুপ্লেসি। ৯৬ রান করে হোল্ডারের বলে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৮১ রানে থামে আরসিবি। ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কার্তিক। লখনউ সুপার জায়ান্টসের টার্গেট ১৮২ রান।