রবিবার ২০২০ সালের হল অব ফেম ঘোষণা করল আইসিসি। এই বছর আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা করে নিলেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জ্যাক কালিস, পাকিস্তানের প্রাক্তন কিংবদন্তী ক্রিকেটার জাহির আব্বাস ও অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেটার লিসা স্থালেকার কার। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। সুনীল গাভাসকর, শন পোলক, মেলানি জোনসদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুনদের অভিনন্দন জানান ওয়াসিম আকরাম, গ্রেম স্মিথ, আলিসা হিলিরা।
আরও পড়ুনঃ‘ইতিহাস তৈরি হয় তখনই, যখন ঐতিহ্য ও আগামী জোট বাঁধে'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্টে ১৩,২৮৯ রান করেছেন জ্যাক কালিস, একদিনের ক্রিকেটে প্রোটিয়াতারকার সংগ্রহ ১১,৫৭৯ রান। দুই ফর্ম্যাট মিলিে ২৫০ উইকেটও নিয়েছেন জ্যাক কালিস। হল অফ ফেমে স্থান পেয়ে গর্বিত জ্যাক কালিস। তিনি জানিয়েছেন,'আইসিসির হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া অত্যন্ত সম্মানের। আমি যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি তখন এমন কোনও ভাবনা আমার মাথায় কাজ করেনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রশংসা পাওয়ার জন্য কোনওদিন ক্রিকেট খেলিনি, শুধু যার জন্য খেলেছি তার হয়ে ম্যাচ জিততে চেয়েছি। তবে কেউ ব্যক্তিগতভাবে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছলে তার স্বীকৃতি প্রাপ্য। তাই এক্ষেত্রে আমিও জনমাধ্যমে স্বীকৃত হয়ে এমন সম্মান লাভ করতে পেরে খুশি। একইসঙ্গে আমি গর্বিতও বটে।'
আরও পড়ুনঃকোভিড পরীক্ষার জন্য নেওয়া হল ধোনির সোয়্যাব, ভিডিও শেয়ার করল দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিল
আরও পড়ুনঃযোগ্য সম্মান পাননি ধোনি, বিসিসিআইকে বেনজির আক্রমণ প্রাক্তন ক্রিকেটারের
হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়ে জাহির আব্বাস জানিয়েছেন,'আইসিসির অল অফ ফেমে জায়গা পেয়ে আমি সম্মানিত এবং একইসঙ্গে বিনম্র। খ্যাতনামা ক্রিকাটেরদের মাঝে জায়গা পেয়ে আমি ভীষণ উৎসাহী। এই মহান খেলা আজ আমায় পরিচিতি দিয়েছে। ধন্যবাদ ক্রিকেট।' অসি মহিলা ক্রিকেটার স্থালেকার প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ উইকেট ও ১০০০ রানের মালকিন হয়েছেন। আইসিসি হল অফ ফেমে জায়গা পেয়ে স্থালেকার জানিয়েছেন,'আমি চরম স্বপ্নেও কোনওদিন ভাবিনি প্রসিদ্ধ ক্রিকেটারদের তালিকায় আমার নাম যোগ হবে। আমি এই সম্মান পেয়ে অত্যন্ত বিনীত।' আইসিসি-র হল অব ফেম চালু হয় ২০০৯ সালে। প্রতি বছর একাধিক ক্রিকেট কিংবদন্তি অন্তর্ভূক্ত হন এই হল অব ফেমে। ২০১৯ সালে হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকার, ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিক ও অ্যালান ডোনাল্ড।