এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) সুপার ফোরের ম্য়াচে পাকিস্তানের কাছে হার ভারতের (India vs Pakistan)। প্রথমে ব্যাট করে ১৮১ রান করে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। জবাবে ৫ উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান।
এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ডের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার ভারতের। গ্রুপ পর্বে হারের বদলা নিল পাক দল। লড়াই করও শেষ রক্ষা হল না টিম ইন্ডিয়ার। রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে রোহিত শর্মার দলকে ৫ উইকেটে হারাল বাবর আজমের দল। ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। এছাড়া ২৮ রান করেন রোহিত শর্মা,২৮ রান করেন কেএল রাহল। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শাদাব খান। রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে জয় পায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন মহম্মদ রিজওয়ান। এছাড়া ৪৩ রান করেন মহম্মদ নওয়াজ।
এদিন ব্য়াট করতে নেমে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মকভাবে ইনিংস শুরু করেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। ৫ ওভারের মধ্যেই ৫০ রানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন ভারতীয় ওপেনিং জুটি। দলের ৫৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। ২৮ রান করে হ্যারিস রউফের বলে আউট হন রোহিত শর্মা। এরপর দলের ৬২ রানের মাথায় ২৮ রান করে শাদাব খানের বলে আউট হন রাহুল। পরপর দুটি উইকেট হারানোর পর ভারতীয় দলের ইনিংসের রাশ ধরেন বিরাট কোহলি। বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন তিনি। সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ২৯ রানের পার্টনারশিপ করেন বিরাট। ৯১ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ১৩ রান করে মহম্মদ নওয়াজের বলে আউট হন সূর্যকুমার যাদব। বিরাট কোহলি একদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। দলের ১২৬ রানের মাথায় ১৪ রান করে শাদাব খানের বলে আউট হন পন্থ। এরপর ক্রিজে এসে খাতা না খুলেই আউট হন গ্রুপ পর্বের পাক ম্যাচের নায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। মুহম্মদ হাসনাইনের বলে আউট হন। এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে কিছুটা সঙ্গ দেন হুডা। বিরাট কোহলি নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন। কোহলি-হুডা জুটি ৩৮ রান যোগ করেন। দলের ১৬৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৬ রান করে নাসিম শাহের বলে আউট হুডা। এরপর শেষের দিকে ব্যক্তিগত ৬০ রান করে রান আউট হন বিরাট কোহলি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৮১ রান করে ভারত। পাকিস্তানের টার্গেট ১৮২ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। এদিনও বড় রান পাননি পাক অধিনায়ক বাবর আজম। দলের ২২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন বাবর আজম। এদিন শুরু থেকেই ফের ছন্দে ব্যাটিং শুরু করেন ইন ফর্ম মহম্মদ রিজওয়ান। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন ফকর জামান। দুজন মিলে জুটিতে ৪১ রান করেন। ৬৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ১৫ রান করে যুজবেন্দ্র চাহের বলে আউট হন ফকর জামান। এরপর রিজওয়ানের সঙ্গে দলের ইনিংসের রাশ ধরেন মহম্মদ নওয়াজ। একের পর এক অনবদ্য শট খেলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন রিজওয়ান। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করে রিজওয়ান ও নাওয়াজ জুটি।একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন দুজনে। ১৩৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৪২ রান করে মহম্মদ নাওয়াজ আউট হন ভুবনেশ্বর কুমারের বলে। পার্টনারশিপ ভাঙতেই সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ানও। দলের ১৪৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৭১ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন মহম্মদ রিজওয়ান। তবে দলকে জয়ের শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। শেষের দিকে আসিফ আলির সহজ ক্যাচ অর্শদীপ সিং মিস না করলে খেলার ফল অন্যরকম হতে পারত। শেষের দিকে ১৮০ রানে মাথায় আসিফ আলি আউট হন। ১৬ রান করে অর্শদীপ সিংয়ের বলে আউট হন তিনি। শেষে ১ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় পাকিস্তান।