
রঞ্জি ট্রফির সেমি ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিৎ করে ফেলেছে বাংলা দল। এখনও পঞ্চম দিনের খেলা বাকি রয়েছে। তবে অলৌকিক কোনও ঘটনাও হয়তো বাংলাকে শেষ চারের টিকিট পাইয়ে দেওয়া আটকাতে পারবে না। চতুর্থ দিনে ২৯৮ রানে ঝাড়খণ্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পরই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল ম্য়াচের ভাগ্য। ৪৭৫ রানের পাহাড় প্রমাণ লিড পায় বাংলা দল। দ্বিতীয় ইনিংস কার্যত বাংলার কাছে ব্যাটিং অনুশীলন। ফলে খুব ভরাডুবি হলেও শেষ দিনে এত রান তাড়া করে ম্যাত জেতা সম্ভব হবে না ঝাড়খণ্ডের। ফলে পঞ্চম দিনের খেলা এখন শুধু নিয়মরক্ষার। সূচি অনুযায়ী প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেমিফাইনালে যাওয়া দল শেষ চারের লড়াইয়ে নামবে চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ীর বিরুদ্ধে। সেই নিরিখে বাংলার সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ হবে মধ্যপ্রদেশ। দ্বিতীয় সেমি হবে মুম্বই ও উত্তর প্রদেশে মধ্যে।
তৃতীয় দিনের শেষে ঝাড়খণ্ডের স্কোর ১৩৯ রানে ৫ উইকেট। ক্রিজে থিলেম বিরাট সিং ও অনুকুল রয়। চতুর্থ দিনের সকালে অবশ্য বেশি সময় ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি অনুকুল রায়। ৪ করে সায়ন মণ্ডলের বলে আউট হন। ১৫৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে ঝাড়খণ্ডের। এরপর বিরাট সিংয়ের সঙ্গে কিছুটা লড়াই চালান শাহবাজ নাদিম। জুটিতে ৪৫ রান যোগ করেন তারা। দলের ২০২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৫ রান করে শাহবাজ আহমেদের বলে আউট হন নাদিম। এরপর একদিক থেকে একা বিরাট সিং টেলেন্ডার দিয়ে লড়াই চালিয়ে যান। ছোট ছোট পার্টনারশিপ করেন। ২২১ রানে অষ্টম উইকেট পড়ে। ৫ রান করে শাহবাজ আহমেদের বলে আউট হন রাহুল শুক্লা। এরপর ২৪১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯ রান করে আউট হন সুশান্ত মিশ্রা। শেষ উইকেটি তুলতে অপেক্ষা করতে হয় বাংলাকে। আশিস কুমারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান বিরাট সিং। নিজের শতরানও পূরণ করেন তিনি। অবশেষে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ করার পর পড়ে শেষ উইকেট। ২৯৮ রানে ব্যক্তিগত ১৪ রানে আউট হন আশিস কুমার। বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট নেন সায়ন মণ্ডল ও শাহবাজ আহমেদ। প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রানের বিশাল লিড পায় বাংলা।
আরও পড়ুনঃরঞ্জিতে সেমিতে ওঠার আগেই ইতিহাস গড়ল বাংলা দল, ভাঙসল ১২৯ বছরের রেকর্ড
আরও পড়ুনঃকেন এখনও বিয়ে করেননি মিতালি রাজ, রয়েছে কী কোনও প্রেম, জানিয়েছিলেন ক্রিকেট তারকা
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াট করতে নেমে অনেক রিল্যাক্স মুডে ব্যাট করে বাংলা দল। কারণ তাদের কাছে এটা ছিল সময় কাটানো ও সেমি ফাইনালের ব্য়াটিং অনুশীলন। দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনিং জুটিতে ২৪ রান করে বাংলা। ১৩ রান করে নাদিমের বলে আউট হন অভিমূন্য ঈশ্বরণ। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি অভিষেক রমণও। ৩৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে বাংলার। ২২ রান করে নাদিমের দ্বিতীয় শিকার হন অভিষেক। এরপর দলের ৫২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫ রানে নাদিমের তৃতীয় শিকার হন সুদীপ ঘরামি। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৭৬ রানে ৩ উইকেট। ২২ রানে অপরাজিত রয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও ১২ রানে অপরাজিত রয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। ৫৫১ রানে এগিয়ে রয়েছে বাংলা দল।