ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই যুদ্ধের আবহ। বাড়তি উত্তেজনা, উন্মদনা কাজ করে এই একটা ম্যাচকে ঘিরে। দশকের দশকের পর দশক ধরে লে আসছে এই যুদ্ধংদেহি ম্যাচ। মাঠে দেশের জয়ের জন্য নিজেদেরকে উজার করে দিলেও, মাঠের বাইরে যে ভারত-পাক ক্রিকেটাররা ভাল বন্ধু সেই কথা বলেছেন দুই দেশের একাধিক ক্রিকেটার। এবার একটি আশ্চর্য ঘটনার মধ্য দিয়ে দুই দেশের ক্রিকেটাকদের মধ্যে বন্ধুত্ব শুধু নয়, শত্রু দেশেও যে বিপক্ষের ক্রিকেটারের ভক্ত থাকতে পারে তা বুঝিয়ে দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি।
১৯৯১ সালে শারজায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বিনোদ কাম্বলির। সেই সময় থেকেই পাকিস্তানে তার একজন ফ্যান ছিল বলে জানিয়েছেন কাম্বি। মোবাইল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগ না থাকায়, সেই সময় কাম্বলি ভক্ত ভারতীয় তারকাকে চিঠি লিখতেন। আর সেই চিঠি কাম্বলির কাছে পৌছানের দায়িত্ব নিতেন পাকিস্তানের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান রশিদ লাতিফ। ওই কান্বলি ভক্ত তার সব চিঠি রশিদ লাতিফকে দিয়ে যেতেন। পরে যখন খেলার সূত্রে কাম্বলির সঙ্গে রশিদ লতিফের দেখা হত, লতিফ সেই চিঠিগুলি কাম্বলিকে সরবরাহ করতেন। দুই দেশের সাম্প্রতিক সম্পর্কের নিরিখে কার্যত অবিশ্বাস্য এই ঘটনার কথাই প্রকাশ্যে আনলেন বিনোদ কাম্বলি।
আরও পড়ুনঃঅবসরের পর কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না দ্রাবিড়,পরামর্শ দিয়েছিলেন কপিল দেব
আরও পড়ুনঃবিসিসিআইয়ে হঠাৎ পদত্যাগের হিড়িক, রাহুল জোহরির পর ইস্তফা দিলেন সাবা করিম
মাঠের বাইরে দুই দেশের ক্রিকেটারদের বন্ধুত্ব বোঝাতে গিয়ে কাম্বলি বলেছেন,'পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা ছিল শত্রুতা। কিন্তু খেলার বাইরে ওরা ছিল আমার বন্ধু। ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রম, বাকিরা... সবাই। এমন ধরনের বন্ধুত্ব ছিল যা আমরা উপভোগ করতাম। খেলার সময় আবার নিজেদের নিংড়ে দিতাম, সেরাটা উজাড় করে দিতাম। অবশ্য মাঠ ছেড়ে বেরলে আমরা মিশে যেতাম দারুণ ভাবে। এটা ওয়াকারকে জিজ্ঞাসা করলেই বুঝতে পারবেন। ওর সঙ্গে সময় কাটাতাম অনেক। ওয়াসিম ভাইও থাকত। আমরা ছিলাম বন্ধু। আমার অভিষেকের সময় থেকে সেই বন্ধুত্ব বজায় রেখেছি।' কাম্বলি শেষে এও জানিয়েছেন তার কেরিয়ারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই ভক্ত তার সম্পর্কে সব খবর রাখতেন। এখনও তার সঙ্গে যোগযোগ রয়েছে বলেন জানানপ্রাক্তন ভারতীয় তারকা।