করোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। তারপরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্য়া। এই পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় অনুদান দিয়েছেন ভারতীয় বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। এছাড়াও লকডাউনে নিজেদের ব্যক্তিগত মজার ও মিষ্টি মুহূর্তের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন সকলে। তেমনই কয়েকটি ছবি শেয়ার করলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। ছবিতে নিজের চুল কাটতে দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটের ভগবানকে। লকডাউনের জেরে বন্ধ সমস্ত সেলুন থেকে পার্লার। ফলে কী আর করা যাবে। বাড়িতেই হেয়ার স্টাইল করতে হচ্ছে সচিন তেন্ডুলকরকে। লকডাউনের জেরে আমআদমি থেকে সুপারস্টার। সকলেরই এখন অবস্থা একই। বাড়িতেই চুল কাটতে হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে আমরা দেখেছিলাম ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির চুল কেটে দিচ্ছেন বিরাটপত্নী বলিউড তারকা অনুষ্কা। এবার বাড়িতে নিজেই নিজের হেয়ার স্টাইল সেরে ফেললেন মাস্টার ব্লাস্টার।
আরও পড়ুনঃআইসিসির সতর্কবার্তা, লকডাউনে ফাঁদ পাতছেন জুয়াড়িরা,সাবধানী বিসিসিআই
আরও পড়ুনঃ'ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল জেতার পর জার্সি খুলেছিলাম আমিও, কিন্তু কেউ লক্ষ্য করেনি'
নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন শচীন। যেখানে নিজের হেয়ার স্টাইলের ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। মজার বিষয় হল, এই চুলের নতুন স্টাইল তিনি নিজেই করেছেন।" আর এই পোস্টে শচীন লিখেছেন," স্কোয়ার কাট মারা থেকে নিজের চুল কাটা অন্যরকম কিছু করতে বরাবরই ভালোবাসি আমি। আমার চুলের ছাঁট কেমন হয়েছে?" সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি যেই না এসেছে, ভক্তদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে এই ছবিটিতে ১০০ টি সেঞ্চুরির মালিক এই ক্রিকেটারের জন্য।
আরও পড়ুনঃবিছানায় কামড়া-কামড়ি মাহি-সাক্ষীর, লকডাউনে ফাঁস হল গোপন মুহূর্তের ছবি
উল্লেখ্য মার্চ মাসে ৪৬ বছরের এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান করোনা মহামারীর মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে ৫ হাজার মানুষকে এক মাস ধরে খাওয়ানোর দায়িত্ব নেন ভারতীয় কিংবদন্তি। ৩ রা এপ্রিল যে ৪০ জন সম্মানীয় খেলোয়াড়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনা মহামারী নিয়ে আলোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী তাদের মধ্যে শচীনও ছিলেন। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার মানুষকে লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন শচীন।