লকডাউনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটাচ্ছেন ভারতীয় তথা বিশ্ব জুড়ে ক্রিকেটাররা। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে বুকিরা। যাতে ভবিষ্যতে ক্রিকেটার এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া যায়। রবিবারই এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে গভীর উগ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে আইসিসির পক্ষ থেকে। এছাড়াও ক্রিকেটারদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের দুর্নীতি-দমন শাখা। মার্শাল রবিবার জানিয়েছিলেন,'আমরা লক্ষ্য করছি, পরিচিত জুয়াড়িরা এখন ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পর্কটা গড়ে তোলার জন্য এই সময়টা কাজে লাগাচ্ছে। পরে খেলা শুরু হলে যে সম্পর্কটা কাজে লাগাতে পারবে। এখন অনেক ক্রিকেট বোর্ডই পুরো পারিশ্রমিক দিতে পারছে না। যে কারণে আর্থিক সঙ্কটে পড়তে পারে অনেকে। জুয়াড়িরা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তুলে ধরার। আশা করি, ক্রিকেটারেরাও কোনও ভাবে এই ফাঁদে পা দেবে না।'
আরও পড়ুনঃ'ন্যাটওয়েস্ট ফাইনাল জেতার পর জার্সি খুলেছিলাম আমিও, কিন্তু কেউ লক্ষ্য করেনি'
আরও পড়ুনঃবিছানায় কামড়া-কামড়ি মাহি-সাক্ষীর, লকডাউনে ফাঁস হল গোপন মুহূর্তের ছবি
আইসিসির এই আশঙ্কার কথা মানতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অজিত সিং জানিয়েছেন, কোনও রকম সন্দেহজনক কিছু দেখলেই দুর্নীতি দমন শাখাকে তখনই জানিয়ে দিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। অজিত সিং জানিয়েছেন,'ভারতীয় ক্রিকেটারদের বলে দেওয়া হয়েছে এই সময়ে কী ভাবে জুয়াড়িরা যোগাযোগ করতে পারে। প্রথমে তারা ভক্তের মতো ব্যবহার করবে। তার পরে সেই ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা করতে চাইবে, তার পরিচিত কারও সাহায্যে। এ ধরনের কোনও পরিস্থিতির মধ্যে পড়লেই দুর্নীতি দমন শাখাকে জানায় ক্রিকেটারেরা। তার পরে আমরা ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখি।' বিসিসিআইয়ের মতে অনেক জুয়াড়ি এখন ক্রিকেটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে না। তাদের কাছের বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে যোগযোগ করে। অজিত সিং জানান, 'আমরা তথ্য সংগ্রহ করার যতটা সম্ভব চেষ্টা করি। লকডাউনের জন্য ক্রিকেটারেরা বাইরে কাদের সঙ্গে মেলামেশা করছে, সেটা দেখার দরকার পড়ছে না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের গতিবিধি সম্পর্কে আন্দাজ থাকে আমাদের। সন্দেহজনক কোনও ইঙ্গিত পেলে অবশ্যই তদন্ত হয়।' আইসিসির তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও, বিসিসিআই যে এি মুহুর্তে তা মানতে নারাজ তা অজিত সিংয়ের কথা থেকেই স্পষ্ট। একইসঙ্গে বিসিসিআই যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত তাও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃলকডাউনে সক্রিয় বুকিরা,যোগাযোগ করা হচ্ছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে,সতর্কবার্তা আইসিসির