করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল ও ক্রিকেটারদের একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন শাহিদ আফ্রিদি। বরঞ্চ ভারত সম্পর্কে তার বিদ্বেষ আগের তুলনায় আরও বেড়ে গিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। দিন কয়েক আগেই ভারতীয় দল সম্পর্কে শাহিদ আফ্রিদি বলেছিলেন, একসময় ভারতকে এত হারিয়েছে যে ম্যাচ শেষে ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাদের কাছে দয়া ভিক্ষা চাইত। আফ্রিদির এই মন্তব্য নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেই রেশ কাটতে কাটতে না কাটতেই এবার ফের মুখ খুললেন আফ্রিদি। এবার আফ্রিদির নিশানায় অন্য কেউ নয়, খোদ মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তৈন্ডুলকর।
আরও পড়ুনঃ২০২১ এ রাজ্যে বিজেপির মুখ কি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ডোনার বক্তব্য উস্কে দিল সেই জল্পনা
একটি সাক্ষৎকারে সচিন তেন্ডুলকর সম্পর্কে শাহিদ আফ্রিদি বলেছেন, শোয়েব আখতারের বল খেলতে ভয় পেতেন সচিন। এই প্রথম নয়, এর আগেও এই ধরনের মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। ২০১১ সালে শোয়েব আখতার তাঁর ‘কন্ট্রোভার্সিয়ালি ইওরস’ নামে বইটিতে লিখেছিলেন, সচিন তাঁকে খেলতে ভয় পেতেন। যা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। সেই সময়ে আফ্রিদি তাঁর সতীর্থকে সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন,'স্কোয়্যার লেগে ফিল্ডিং করার সময়ে আমি দেখেছি শোয়েবকে খেলার সময়ে সচিনের পা কাঁপত।' এবার সেই একই পরসঙ্গে ফের টেনে আনলেন বুমবুম।
আরও পড়ুনঃএশিয়া কাপ বাতিলের ঘোষণা,সম্মুখ সমরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড
পুরোনো প্রসঙ্গ নিয়ে সাক্ষাৎকারে আফ্রিদিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,'শোয়েবকে খেলতে ভয় পেতেন সচিন তেন্ডুলকর। সচিন তো আর নিজে বলবে না ভয় পেত। শুধু সচিন নয়, বিশ্বের অনেক ব্যাটসম্যানই কিন্তু শোয়েবের কয়েকটা স্পেল খেলতে ভয় পেত। মিড অফে বা কভারে ফিল্ডিং করার সময়ে আমি সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। ক্রিকেটারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলেই বোঝা যায় ব্যাটসম্যান চাপে রয়েছে, নিজের সেরা ছন্দে নেই। শোয়েবের সব স্পেলে যে সচিন ভয় পেত, সেটা আমি বলছি না। তবে শোয়েবের এমন কিছু স্পেল ছিল যা খেলতে সচিন-সহ অনেক ব্যাটসম্যানই ভয় পেয়ে ব্যাকফুটে চলে যেত।' ফলে আরও একবার নিজের পুরোনো বক্তব্যেই অনড় রইলেন শাহিদ।
আরও পড়ুনঃএমএস ধোনির অবসর নিয়ে বড়সড় ঘোষণা, কী জানালেন মাহির ম্যানেজার
শুধু শোয়েব আখতার নয়,বিশ্বকাপে সৈয়দ আজমলকেও খেলতেও সচিন ভয় পেয়েছিলেন বলে জানান আফ্রিদি। কিন্তু কেনও আফ্রিদি বেছে বেছে ভারতীয় দল ও ক্রিকেটারদেরই তার আক্রমণের নিশানায় আনছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তিনি করোনা আক্রান্ত থাকাকালীন ভারতীয়রাও তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন। কিন্তু সুস্থ হয়েই যেভাবে একের পর এক ভারতীয় বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন আফ্রিদি, তাতে ক্ষোভ বাড়ছে ভারতীয়দের মধ্যেও।