কেএল রাহুল-দীপক হুডার অর্ধশতরান, হায়দরাবাদকে ১৭০ রানের টার্গেট দিল লখনউ

আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের টানচটান লড়াই। ম্য়াচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদস অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ভালো শুরু করে বোলাররা। ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ে যায় লখনউয়ের। সেখান থেকে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন কেএল রাহুল। তাকে যোগ্য  সঙ্গ দেন দীপক হুডা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটা হারিয়ে ১৬৯ রান করল লখনউ সুপার জায়ান্টস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক কেএল রাহুল। ৫১ রানের বিদ্ধংসী ইনিংস খেলেন দীপক হুডা। এছাড়া ১৯ রানের ইনিংস খেলেন আয়ূশ বাদোনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ওয়াশিংটন, টি নটরাজন ও রোমারিও শেফার্ড।

এদিন ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লখনউ সুপার জায়ান্টসের। টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটসম্য়ান তাডাতাড়ি প্যাভেলিয়নে ফেরত চলে যান। ৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে লখনউয়ের। ১ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হন  কুইন্টন ডিক। এরপর গত ম্যাচের নায়ক ইভিন লুইসের ব্য়াট এদিন চলেনি। তিনিও ব্যক্তিগত ১ রানে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার হন। ১৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। এরপর লাগাতার ৩ ম্য়াচ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন মনীশ পাণ্ডে। দলের ২৭ রানের মাথায়  ব্যক্তিগত ১১ রানে আউট হন তিনি। রোমারিও শেফার্ড নেন উইকেট। একদিকে থেকে উইকেট পড়লেও দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক কেএল রাহুল। এরপর দীপক হুডাকে সঙ্গে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়া শুরু করেন রাহুল। গত ম্য়াচে ফর্মের ফেরর পর এদিন পুরো পুরি নিজের ছন্দে ছিলেন লখনউ অধিনায়ক। অপরদিকে প্রতিযোগিতার দুরন্ত ফর্ম ধরে রাখেন দীপক হুডাও। দুজনে মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন। দ্রুত গতিতে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করে ফেলেন হুডা।

এরপর রাহুল ও হুডা মিলে দলের স্কোর সেঞ্চুরি পার করান।  ৮৭ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। ১১৪ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ব্যক্তিগত ৩৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে রোমারিও শেফার্ডের দ্বিতীয় শিকার হন হুডা। এরপর ক্রিডে আসেন আয়ূশ বাদোনি। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করে রানের গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। ১৪৪ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে লখনউয়ের। ৫০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে টি নটরাজনের বলে আউট হন কেএল রাহুল। ব্য়াট করতে নেমে বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি ক্রুণাল পান্ডিয়া। ৬ রান করে নটরাজনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ১৫০ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। এরপর শেষ পর্যন্ত ব্য়াটিং করে লাস্ট বলে রান আউট হন আয়ূশ বাদোনি। ১৯ রান করেন তিনি। ৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জেসন হোল্ডার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়ের টার্গেট ১৭০ রান।