
এশিয়া কাপ শুরুর আগে শ্রীলঙ্কা যে চ্যানম্পিয়ন হবে তা মনে করেননি কোনও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই। কিন্তু সকলকে ভুল প্রমাণ করে ষষ্ঠবারের মত এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লঙ্কান লায়ন্সরা। ফাইনালে ব্য়াটে বলে অনবদ্য পারফরম্যান্স করে পাকিস্তানকে হারায় দাসুন শানাকার দল। ট্রফি জয়ের পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের নাচের ভিডিও ইতিমধ্য়ে নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে। কিন্তু কবে দেশে ফিরবে এশিয়া সেরা ক্রিকেট দল, সেই অপেক্ষাতেই ছিল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট প্রেমি জনতা। রাজনৈতিক ডামাডোল পরিস্থিতি, নিত্য দিন চলছে অশান্তি, দ্রব মূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার মুখে একটু হলেও হাসি ফোটাল। তাই সেই হাসির কারিগররা দেশে ফিরতেই রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়ে তাদের বরণ করে নেওয়া হল।
মরুদেশ থেকে ভোর বেলার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো বিমান বন্দরে পৌছান দাসুন শানাকা, ভানুকা রাজাপক্ষ, ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গারা। দেশে ফিরে বিমান বন্দরেই কিছু সময় বিশ্রাম করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। সেই ভোর বেলাতেও বিমান বন্দরে দেশের দলকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিল অসংখ্য মানুষ। বিশ্রাম নেওয়ার পর ক্রিকেটারের নিয়ে শহর পরিক্রমা করার জন্য সাজানো হয়েছিল একটি হুড খেলা বাস। সেই বাসে করেই গোটা শহর পরিক্রমা করে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। রাস্তার দুধারে তখন কাতারে কাতারে জনতা। দেশেক অস্থির পরিস্থিতি ছাপ নেই কারও চোখে মুখে। একটা ট্রফি ক্ষণিকের বদলে দিয়েছে সবকিছু। উৎসবের আবহে ক্রিকেটারদের সম্মান জানান শ্রীলঙ্কাবাসী। জাতীয় পতাকা, ফুল , মালা নিয়ে ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা জানান সাধারণ মানুষ। এমন ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত ক্রিকেটাররা।
প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের ফাইনালে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিস খেলেন ভানুকা রাজাপক্ষে। এছাড়া ৩৬ রান করেন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হ্যারিস রউফ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতিকর আহমেদ। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। মহম্মদ রিজওয়ান সবথেকে বেশি ৫৫ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন প্রমোদ মদুসান। এছাড়াও ৩টি উইকেট নেন হাসরঙ্গা, ২টি উইকেট নেন চামিকা করুণারত্নে ও একটি উইকেট নেন মাহেস থিকসানা। ২৩ রানে ম্য়াচ জিতে ষষ্ঠবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা।