উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ২০১১ বিশ্বকাপে গড়াপেটার তদন্ত বন্ধ করল শ্রীলঙ্কা সরকার

  • অবশেষে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে গড়াপেটার অভিযোগে তদন্ত বন্ধ
  • তদন্ত শুরু হওয়ার চারদিনের মধ্যে তা বন্ধ করল শ্রীলঙ্কা প্রশাসন
  • দেশের প্রাক্তন অধিনায়কদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তুষ্ট তদন্তকারীরা
  • উপযুক্ত প্রমাণের অভাবেই তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল
     

Sudip Paul | Published : Jul 3, 2020 2:29 PM IST

জোর কদমেই চলছিল তদন্ত। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথাগমাগে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন। তারপরই তদন্ত শুরু করে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রক। একের পর এক দেশের তাবড় তাবড় ক্রিকেটারদের ডেকে চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ।  জিজ্ঞাসাবাদ বললে ভুল হবে, চলছিল ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অরবিন্দ ডি সিলভাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় টানা ৬ ঘণ্টা।  কুমার সঙ্গাকারাকে জেরা করা হয় প্রায় ১০ ঘণ্টা। দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করা মাহেলা জয়াবর্ধনেকেও। একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদে পরও কোনও প্রমাণ না মেলায় অবশেষে তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করল শ্রীলঙ্কা সরকার।

আরও পড়ুনঃএই ছবির কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হলেন ইরফান পাঠান,তুলনা করা হল পরবর্তী হাফিজ সৈঈদের সঙ্গে

উল্লেখ্য, ১৯৮৩-র পর ২০১১। ৩১ বছর পর মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ফের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ফাইনালে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল মেন ইন ব্লুরা। কিন্তু সম্প্রতি ২০১১ বিশ্বকাপ নিয়ে চাঞ্চল্য অভিযোগ করেন তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানন্দ আলুথগামাগে। তার অভিযোগ, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ ম্যাচেস গড়াপেটা হয়েছিল। খোদ শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রীড়া মন্ত্রীর অভিযোগে হইচই পড়ে যায় ক্রিকেট বিশ্বে। ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাহেলা জয়বর্ধনে ও কুমার সঙ্গাকারা। জয়বর্ধনে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘সামনেই নির্বাচন। তাই সার্কাস শুরু হয়ে গিয়েছে।’ 

আরও পড়ুনঃবিরাট কোহলির থেকে বাবর আজমকেই এগিয়ে রাখলেন ইনজামাম উল হক

আরও পড়ুনঃফুটবল বিশ্বে ভূমিকম্প, বার্সোলোনা ছাড়ছেন কী লিওনেল মেসি

অবশেষে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মতের সঙ্গেই একমত হতে হল তদন্তকারীদের। তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার এদিকে তদন্ত শুরুর চার দিনের মধ্যেই দাড়ি টেনে দিল লঙ্কান পুলিস ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পোশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। সূত্রের খবর, লঙ্কান পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ সকল ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্তুষ্ট। কোনও ধরণের গড়াপেটার ইঙ্গিত তারা পায়নি। তাই তথ্যপ্রমাণের অভাবে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল। 

Share this article
click me!