একে দলের করোনা ভাইরাসের থাবা। তারউপর আইপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে রা.নার দেশে ফেরা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চরম অস্বস্তিতে চেন্নাই সুপার কিংস দল। কিন্তু রা.নার দল ছাড়া নিয়ে উঠে আসছে নানা কারণ। কেউ বলছেন রায়নার দল ছাড়ার কারণ করোনা আতঙ্ক। কেউ আবার বলছেন পাঠানকোটে তার আত্মীয়ের পরিবারে দুষ্কৃতী হামলা। কিন্তু যদি দুষ্কৃতী হামলাই কারণ হয় তাহলে দেশে ফিরে পরিস্থিতি কিছুটা সামলে ফের দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারতেন রায়না। যদিও রায়না সিএসকে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন ব্যক্তিগত কারণেই আইপিএল না কেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার সামনে এল সবথেকে বিস্ফোরক কারণ। জানা গিয়েছে ধোনির সঙ্গে 'দ্বন্দ্বের' কারণেই আইপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ছেন সুরেশ রায়না। আর এই দাবি করেছেন অন্য কেউ নয়, খোদ চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক এন শ্রীনিবাসন।
আরও পড়ুনঃক্রিকেটে সৌরভের যোগ্যতা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য জন বুকাননের, জবাবে কি বললেন 'দাদা'
এক সাক্ষাৎকারে এন শ্রীনিবাসের বক্তব্য অনুযায়ী, দুবাই পৌছানোর পর থেকেই হোটেলের ঘর নিয়ে অখুশি ছিলেন রায়ান। আসলে রা.নার ঘরে ব্যালকনি ছিল না। ধোনির ঘরে ব্যালকনি ছিল। তাই ধোনির মত ঘর দেওয়ার জন্য দাবি জানান রায়না। কিন্তু জৈব সুপরক্ষা বলয়ে নিয়ম অনুযায়ী তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ধোনির মত ঘর না পাওয়ায় বেজায় চটে যান রায়না। বায়ো-বাবলের কড়া নিয়ম নিয়েও অসন্তোষ ছিল রায়নার মধ্যে। এই বিষয়টিই টিম হোটেলের বিতর্কের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। এমনকি খোদ মহেন্দ্র সিং ধোনিও রা.নার সঙ্গে কথা বলে তাকে ঠান্ডা করতে পারেনি বলেই খবর। শ্রীনি জানিয়েছেন,'ক্রিকেটাররা হলেন ওপেরার প্রধান গায়িকার মতো। পুরনো দিনের মেজাজি অভিনেতাদের মতো। চেন্নাই সুপার কিংস বরাবরই একটি পরিবারের মতো এবং সব সিনিয়র খেলোয়াড়রাই একসঙ্গে থাকা শিখে গিয়েছেন। আমার ভাবনাচিন্তা হল, তুমি যদি অনিচ্ছুক বা অখুশি হও, তাহলে ফিরে যাও। কাউকে কোনও কিছু করার জন্য আমি জোর দিইনি। কখনও কখনও সাফল্যে মাথা ঘুরে যায়।' শ্রীনিবাসন সরাসরি কিছু না বললেও, এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার তিনি রায়নার ব্যবহারে সন্তুষ্ট নন।
আরও পড়ুনঃকরোনা বিধ্বস্ত ধোনির সিএসকে কি আইপিএল খেলবে, মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
আরও পড়ুনঃএক যুগ পার ভারতের কোটিপতি লিগের, চিনে নিন আইপিএলের সেরা ১০ কোটিপতিকে
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত রয়েছেন রায়না। যদিও রায়নার এহেন আচরণে খুব একটা মাথা ঘামাতে রাজি নন সিএসকে কর্নধার। তবে দলের উপর ধোনির-রায়নার 'দ্বন্দ্ব'-এর প্রভাব কতটা পড়বে তা নিয়ে একটু চিন্তিত রয়েছেন। তবে ধোনি শ্রীনিবাসনকে আস্বস্ত করেছেন গোটা দলকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তিনি। সকলকে সুরক্ষিত থাকতেও বলেছেন। একইসঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে সকলের সঙ্গে কথাও বলছেন ধোনি। তবে ধোনি ও রায়না দুজন বরাবরই খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু দুজনরে মধ্যেই এই 'দ্বন্দের' খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। যেখানে ধোনির কথা রায়া অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন। ধোনির অবসরের সিদ্ধান্তের সঙ্গী হয়েছিলেন তিনিও। তাহলে সামান্য রুম নিয়ে কেনও ধোনি বোঝানো সত্ত্বেও কেনও মানলেন না রায়না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে রায়না ফের দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন বলেও আশাবাদী শ্রীনিবাসন ও ধোনি।