আইপিএলে চিনা স্পনসর বাতিল না করায় একের পর এক হুঁশিয়ারী বা হুমকির মুখে বিসিসিআই। আইপিএলে চিনা স্পনসর বাতিলের দাবি নতুন। লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর থেকেই দেশ জুড়ে চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাক ওঠে। কেন্দ্রীয় সরকারও ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। আইপিএল থেকেও চিনা স্পনসর বাতিলের দাবি করা হয়। আইপিএলের প্রধান টাইটেল স্পনসর ভিভোই একটি চিনা সংস্থা। এছাড়া 'আলিবাবা' 'পেটিএম'-সহ বেশি কয়েক সংস্থা আইপিএলের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত। এরইমধ্যে গত রবিবার গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে ঠিক হয়েছে আইপিএলের চূড়ান্ত ক্রীড়সূচি। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত আরব আমিরশাহিতে বসবে ভারতের কোটিপতি লিগের আসর। একইসঙ্গে ঠিক হয় যে আইপিএল থেকে বাতিল করা হচ্ছে না ভিভো-সহ কোনও চিনা স্পনসরকেই। একরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু দেশের নাগরিকদের একাংশ আইপিএল বয়কটের ডাক দেয়। এবার আইপিএল বয়কটের ডাক দিল আরএসএস অনুমোদিত স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ বা এসজিএম।
আরও পড়ুনঃসচিনের ব্যাট দিয়েই ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন আফ্রিদি, ২৪ বছর পর রহস্যফাঁস
মঙ্গলবার আরএসএস অনুমোদিত স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ ভিভো বিরোধী অভিযানে নামে। সংস্থার সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন এক বিবৃতি দিয়ে বলেন,'যে সময়ে দেশের অর্থনীতিকে চিনা আধিপত্য থেকে মুক্ত করার চেষ্টা চলছে, ভারত সরকার যখন যাবতীয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দেশের বাজার থেকে চিনা পণ্য হঠাতে, তখন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এ হেন সিদ্ধান্ত দেশের ভাবনার বিরোধী।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “ভারতবাসীর উচিত আইপিএল বয়কট করা। টিভিতে না দেখা।' সোমবারও চিনা স্পনসর বাতিল না করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আইপিএল বয়কটের ডাক ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে #BoycottIPL। আইপিএল থেকে চিনা স্পনসর বাদ না দেওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। এরইমধ্যে অবার আরএসএস অনুমোদিত সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ ভিভো বিরোধী আন্দোলন শুরু করায় বিসিসিআইয়ের উপর চাপ আরও বাড়ল। আইপিএল থেকে চিনা স্পনসর বাতিল না হলে আন্দোলন আরও জোরদার করার কথা বলা হয়েছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃনতুন মরশুমের সিঁরি আ-র দিনক্ষণ প্রকাশিত, জেনে নিন বিস্তারিত
আরও পড়ুনঃ১০ আগস্টের মধ্যে জার্সির রং জানাতে হবে আইএসএলের দলগুলিকে, চাপে ইস্টবেঙ্গল