
২৪ ঘন্টা আগেই তাঁরা ছিলেন গুরু-শিষ্য। চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)-এর হলুদ জার্সি পরে, দুজনেই জিতেছেন চতুর্থ আইপিএল ট্রফি। আর আইপিএল ২০২১ ফাইনালের (IPL 2021 Final) পরদিনই তাঁরা যোগ দিলেন যুযুধান দুই শিবিরে। আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে দেখা যাবে স্টিফেন ফ্লেমিং (Stephen Fleming) এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) মস্তিষ্কের লড়াই। সিএসকে-র অধিনায়ক যেখানে ভারতীয় দলের মেন্টরের ভূমিকা নিচ্ছেন, সেখানে সিএসকের কোচ হচ্ছেন নিউজিল্যান্ডে (New Zealand Cricket Team) দলের পরামর্শদাতা।
তবে ধোনি যেখানে পুরো বিশ্বকাপই ভারতীয় দলের (Team India) সঙ্গেই থাকবেন, সেখানে ফ্লেমিং কিউই দলের সঙ্গে শুরুর কয়েকদিনই মাত্র থাকবেন বলে জানিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নতুন করে কোনও ভূমিকা প্রয়োজন নেই। ক্রিকেট ছাড়ার পর এখন তিনি একজন অভিজ্ঞ কোচ। আইপিএল-এর শুরুর দিন থেকেই তিনি সিএসকে-র কোচ। আর ধোনির সঙ্গে তাঁর জুটির তালমিলও দুর্দান্ত। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে আইপিএল থেকে সিএসকে সাসপেন্ড থাকাকালীন ধোনির সঙ্গেই রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টে কোচিং করতে এসেছিলেন ফ্লেমিং।
"
আইপিএল ২০২১ ট্রফি জিতেও আইপিএল-এর সেরা অধিনায়ক হতে পারেননি এমএস ধোনি। তাঁর থেকে একটি বেশি ট্রফি জিতেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে স্টিফেন ফ্লেমিং কিন্তু, আইপিএল-এর সবথেকে সফল কোচ হলেন। এতদিন পর্যন্ত ৩টি করে আইপিএল জিতেছিলেন তিনি এবং এমআই কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে। শুক্রবারের চতুর্থ ট্রফি জয়, তাঁকে এক কদম এগিয়ে দিল।
আরও পড়ুন - IPL 2021 - 'পোলার্ডকে ফোন করেই বলব', টি২০ ক্রিকেটে বিরাট রেকর্ড CSK-র ব্রাভোর
নিউজিল্যান্ড শিবিরে ফ্লেমিং, কিউইদের প্রধান কোচ গ্যারি স্টেডের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন। ২০১৮ সাল থেকেই কিউই জাতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্বে আছেন গ্যারি। এর আগেও ফ্লেমিংকে কয়েকবার নিউজিল্যান্ডের পরামর্শদাতার ভূমিকায় দেখা গেলেও জাতীয় দলের পূর্ণকালীন কোচিংয়ের দায়িত্ব কখনও পালন করেননি। সিএসকে-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্কই তাঁকে এই ভূমিকা থেকে দূরে রেখেছে বলে মনে করা হয়। কোচিং-এর আগে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক হিসাবেও তিনি দারুণ সফল ছিলে। একমাত্র কিউই অধিনায়ক হিসাবে তিনি একটি আইসিসি ট্রফি জিতেছিলেন। তিনি ১১১টি টেস্ট, ২০০টি ওয়ানডে এবং ৫টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলেছেন।
এক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করা ফ্লেমিং এবং ধোনি এখন টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ভারত একবারও নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করতে পারেনি। ২০০৭ এবং ২০১৬ সালে ধোনির নেতৃত্বেই হারতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আসন্ন বিশ্বকাপে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড ভারতের মতোই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্য়াচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে। আর ৩১ অক্টোবর তারা মুখোমুখি হবে ভারতের। সেদিন দেখা যাবে, কার মস্তিষ্কের জোর বেশি, ধোনির না ফ্লেমিং-এর।