
শারজায়, বিশেষ করে দিন-রাতের খেলায় চলতি টুর্নামেন্টে পরে বল করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ব্য়াটে ঠিক মতো বল আসে না বলে স্ট্রোক খেলাও মুশকিল হচ্ছিল ব্যাটারদের। সেখানেই রবিবার, বিশ্বকার ২০২১-এর সুপার ১২ পর্বের ম্য়াচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। তবে বাবর আজম এবং মহম্মদ হাফিজের তৈরি করে দেওয়া মঞ্চে ৩৯ বছর বয়সী শোয়েব মালিকের ব্যাটে থেকে বের হল একের পর এক রকেট, তুবড়ি, রং মশাল। শেষ ওভার থেকেই ২৬ রান নিলেন তিনি। তাঁর ১৮ বলে করা অর্ধশতরানের জোরেই শারজায় ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান তুলল পাকিস্তান।
এদিন পাকিস্তানের শুরুটা দেখে মনে হয়নি, শারজায় তারা এত বড় রানের ইনিংস গড়তে পারবে। পাওয়ার প্লে-তে একটিও উইকেট যায়নি তাদের। তবে ৩৫-এর বেশি রানও ওঠেনি প্রথম ৬ ওভারে। আর পাওয়ার প্লে-র ঠিক পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান রিজওয়ান। এদিনের ম্যাচেই প্রথম একাদশে আসা, স্কটিশ স্পিনার হামজা তাহিরের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রিজওয়ান।
"
ফখর জামান (৮) এদিনও রান পেলেন না। দশম ওভারে তিনি ফেরেন ক্রিস গ্রিভস-এর বলে। ১০ ওভারের শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ৬০। সেই সময়ও পাকিস্তান ১৮৯ রান তোলার মতো জায়গায় ছিল না। তবে ক্রিজের একদিক ধরে রেখেছিলেন বাবর আজম। এদিনও তিনি অর্ধশতরান করলেন। বিশ্বকাপে এই নিয়ে ৪টি অর্ধশতরান হয়ে গেল তাঁর। তবে, তখনও পর্যন্ত রান তোলার গতি বাড়াতে পারছিলেন না পাক অধিনায়ক। পাকিস্তানকে দ্রুত রান তোলার ছন্দটা প্রথম এনে দেন 'প্রফেসর' মহম্মদ হাফিজ।
একেবারে শুরু থেকেই মহম্মদ হাফিজ বুঝিয়ে দেন তিনি ধরে খেলবেন না, খুঁটে খুটে রান তিনি নেবেন না। নিজের ইনিংসের ষষ্ঠ বলেই হামজা তাহিরকে চার মেরেছিলেন তিনি। শে, পর্যন্ত ১৯ বলে ৩১ রান করে সাফিয়ান শরিফের বলে এলবিডব্লু হন হাফিজ। মারেন ৪ টি চার ও ১ টি ছয়। ১৫তম ওভারের শেষ বলে তিনি আউট হওয়ার সময় পাকিস্তানের রান ছিল ১১২/৩।
এরপরই ঝড় তোলেন শোয়েব মালিক। শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তান এদিন তুলল ৭৭ রান। এরমধ্যে ৫৪ রানই শোয়েবের। ১৮তম ওভারে ক্রিস গ্রিভসের বলে আউট হন বার আজম। পাক অধিনায়ক ৪৭ বলে করলেন ৬৬ রান। মারলেন ৫ টি চার এবং ৩ টি ছয়। বাবর ফিরে গেলেও থামানো যায়নি শোয়েব মালিককে।
মাত্র ১৮ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। মালিক চার মেরেছেন ১ টি আর ছয় মেরেছেন ৬ টি। এর মধ্যে শেষ ওভারে ক্রিস গ্রিভস-এর বলেই মারলেন ৩ টি ছয় এবং ১ টি চার। সব মিলিয়ে এদিন তাঁর স্ট্রাইক রেট ৩০০!