ত দিন যাচ্ছে ততই প্রভাব বিস্তার করছে করোনা ভাইরাস। দেশের মতই বাংলাতেও লাফিয়ে বাড়চে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্য়েই রাজ্য জুড়ে আক্রান্তের সংখ্য়া ৭৫০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। কোভিড ১৯-এর কারণে জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরের মতই রাজ্য স্তরেও বন্ধ রয়েছে সমস্ত খেলা। প্রতি বছর জুন মাস পর্যন্ত চলে সিএবির ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম। কিন্তু করোনার কারণে মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২০১৯-২০ মরসুমের খেলা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানে না। এই অবস্থায়য় চলতি মরশুম শুরু করা যাবে না বলে ধরেই নিচ্ছেন সিএবি কর্তারা। যদিও তাঁরা সরকারি ভাবে কিছু জানাতে নারাজ। সূত্রের খবর, চলতি মাসেই এই ব্যাপারে সিএবি কর্তারা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন। সভাপতি-সহ বোর্ড কর্তারা টেলিকনফারেন্সে আলোচনা করে নেবেন। পরে সাংগঠনিক নিয়ম অনুসারে বিশেষ সাধারণ সভার অধিবেশন ডেকে প্রস্তাব পাস করিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেবেন।
আরও পড়ুনঃঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রীড়াজগৎ,শোক প্রকাশ সচিন,সৌরভ,কোহলিদের
আরও পড়ুনঃক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নয়া কেন্দ্রীয় চুক্তি, বাদ পড়লেন খোয়াজা, শন মার্শ সহ ৬ ক্রিকেটার
দীর্ঘদিন খেলা বন্ধ থাকায় মাঠগুলো সব অযত্নে পড়ে। লম্বা লম্বা ঘাস আর আগাছার জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। ফি বছর এই সময় ময়দান গমগম করত। লিগ, নকআউট-সহ প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশনের সব খেলাই বন্ধ। ক্রিকেট খেলার মাঠের অবস্থা শোচনীয়। লকডাউন ওঠার পর মাঠগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কতদিন লাগবে, জোর দিয়ে কেউ বলতে পারছেন না। জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ক্রিকেট মরশুম চলে। এর পরেই বর্ষা। বর্ষার সময় চলে ফুটবল মরসুম। তারপর পুজোর পর অক্টোবর, নভেম্বর মাস থেকে ফের শুরু হয় ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুমের তোরজোর। ফলে আগের মরসুমই এখনও শেষ করা গেল না। সামনে রয়েছে নতুন মরসুম শুরুর চাপ। ফলে, ঘরোয়া ক্রিকেট বাতিল ঘোষণা করা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনও রাস্তা খোলা থাকছে না। তবে বৈঠকের পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সিএবির আধিকারিকরা। অপরদিকে করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই দুই দফায় ২৫ ও ১৭ লক্ষ টাকা দিয়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। ভবিষ্যতে করোনা যুদ্ধে আরও কীভাবে সরকারের পাশে থাকা যায় সেদিকটিও খতিয়ে দেখছেন সিএবি কর্তারা।
আরও পড়ুনঃশোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে মানহানি ও ফৌজদারি ধারায় মামলা দায়ের পিসিবির আইনি উপদেষ্টার