সংক্ষিপ্ত
- নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সমস্যায় পড়লেন শোয়েব আখতার
- আইনি পদক্ষেপ নিলেন পিসিবির আইনি উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভি
- শোয়েবের বিরুদ্ধে মানহানি ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন রিজভি
- পাক বোর্ড ও রিজভি প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্যের লপরই এই সিদ্ধান্ত পিসিবির
লকডাউনে একের পর এক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রাক্তন পাকিস্তান স্পিড স্টার শোয়েব আখতার। ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর জীবন বিতর্ক তার নিত্য দিনের সঙ্গী। সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। আর তার জেরেই শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আইনি উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভি৷
আরও পড়ুনঃসেরা নয়,শত্রু একাদশ বাছলেন মাইক হাসি,দলে তিন ভারতীয়
পাকিস্তান সুপার লিগ চলাকালীন ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেলেও, সে বিষয়ে দুর্নীতি দমন শাখার আধকারিকদের কিছু না জানানোর দায়ে সোমবার আকমলকে তিন বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে পিসিবি-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রাক্তন তারকা পেসার শোয়েব আখতার। উমর আকমলের নির্বাসনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর দাবি, পিসিবি-র আইনি বিভাগ কোনও কাজের না। ক্রিকেটারদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, সেটাই জানে না পিসিবি। শোয়েব বলেছিলেন, ‘এই শাস্তি কি ন্যায্য? আমি বলছি, পিসিবি-র আইনি বিভাগ সম্পূর্ণ অপদার্থ ও নিস্কর্মা। বিশেষ করে ফজল রিজভি কোনও কাজই করেন না। আমি জানি না তিনি কোথা থেকে এসেছেন। অনেকের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক। সেই সুবাদেই তিনি ১০-১৫ বছর ধরে পিসিবি-তে আছেন। পিসিবি যখন পাকিস্তান সুপার লিগে অনলাইন বেটিংকে স্বীকৃতি দিল, তখন কী মনে করেছিল? আমাদের আইন ও সংবিধান যখন বেটিংকে স্বীকৃতি দেয় না, তখন এই বিষয়টি কীভাবে পিসিবি-র দৃষ্টি এড়িয়ে গেল? পিসিবি বড় ভুল করেছে এবং আমাদের সংবিধানের অবমাননা করেছে। অনলাইন বেটিংয়ের অনুমতি দিয়ে ইসলামেরও অবমাননা করেছে পিসিবি। আমরা এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। পাকিস্তান সুপার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিও কিছু জানত না। আমি জানতে চাই, কোনও ক্রিকেটার ম্যাচ গড়াপেটা করে ধরা পড়লে অন্তত ১০ বছরের কারাদণ্ড সংক্রান্ত আইন কেন জারি করা হল না? শ্রীলঙ্কায় এই আইন রয়েছে। এই আইন জারি করা হলে কেউ ম্যাচ গড়াপেটার মতো অপরাধ করার সাহস পাবে না। ১৯৯৫ থেকে শুরু হয়েছে, এখন ২০২০। কিন্তু এখনও লোকজন ম্যাচ গড়াপেটা করে চলেছে। এটা পিসিবি-র আইনি বিভাগের ব্যর্থতা।’ ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নির্বাসিত হওয়ার পরেও মহম্মদ আমির, শারজিল খানের মতো ক্রিকেটারদের পাকিস্তানের জাতীয় দলে ফেরানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন শোয়েব।
আরও পড়ুনঃকরোনার কারণে বাতিল ইষ্টবেঙ্গল বনাম ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রদর্শনী ম্যাচ
আরও পড়ুনঃঅস্ট্রেলিয়ার স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফর নিয়ে কোনও আশা দেখছেন না ডেভিড ওয়ার্নার
শোয়েব আখতারের রিজভি প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই,প্রাক্তন এই ফাস্ট বোলারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার পাশাপাশি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন রিজভি৷ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দীর্ঘকালীন আইন উপদেষ্টা রিজভি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি আখতারের বিরুদ্ধে মানহানি ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন৷ সাইবার অপরাধ আইনে ফেডারেল তদন্ত সংস্থার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন রিজভি৷ পাকিস্তান বার কাউন্সিলের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য পরিপ্রেক্ষিতে বার কাউন্সিল জানিয়েছে, পিসিবি-র আইনি উপদেষ্টা রিজভির বিষয়ে আখতার যে মন্তব্য করেছিলেন, তা শুনে হতাশ হয়েছি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শোয়েব আখতারকে আইনিজীবীদের নিয়ে মন্তব্য করার আগে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল৷ পিসিবির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,‘আখতারের ব্যবহৃত ভাষাটি অত্যন্ত অনুপযুক্ত এবং অসম্মানজনক ছিল৷ এটিকে কোনও সভ্য সমাজে কাম্য নয়৷ পিসিবি-র আইন উপদেষ্টা মিঃ তাফাজুল রিজভি নিজের বিবেচনার ভিত্তিতে শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে মানহানি ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন৷ পিসিবিও তার অধিকার সংরক্ষণ করে।’ পিসিবি ও রিজভির পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পর পাক বোর্ডের সঙ্গে শোয়েবের দ্বৈরথ নয়া নাত্রা পেল বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। এই জল অনেক দূর পর্যন্ত এগোবে বলেও মত সকলের।