বাংলার ক্রিকেট মহল কিছুতেই পিছু ছাড়াতে পারছে না করোনা ভাইরাসের। গত ১০ জুলাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লার স্ত্রী। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা শুরু করেছিলেন লক্ষ্মীর স্ত্রী স্মিতা সান্যাল শুক্লা। ১৪ দিনের মাথায় করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হন প্রাক্তন বাংলা অধিনায়কের স্ত্রী। স্ত্রী করোনা মুক্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছিল পরিবারে। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলনা মন্ত্রীর পরিবারে। ফের করোনা ভাইরাস থাবা বসালো লক্ষ্মীরতন শুক্লার পরিবারে। এবার আক্রান্ত হলেন লক্ষ্মীর বড় ছেলে।
আরও পড়ুনঃফের মানবিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, দাঁড়ালেন করোনা আক্রান্ত অসহায় পরিবারের পাশে
স্ত্রী করোনা মুক্ত হওয়ার পরই নিজের ও ১১ বছরের বড় ছেলের করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজেটিভ আসে লক্ষ্মীর ছেলের। কিন্তু তার শরীরে কোনওরকম উপসর্গ নেই। বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন লক্ষ্মীর ছেলে। চিকিৎসকেরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে তাকে। ছেলের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে পের উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লার পরিবার। ফের হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভেই আস্থা সুনীল গাভাসকরের
আরও পড়ুনঃ৫ ব্যাটসম্যানের নাম জানালেন কুম্বলে, যাদের বল করতে হয়নি বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন তিনি
রাজ্যের মন্ত্রী ও প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, মাস্ক বিলি, খাবারের ব্যবস্থা করা সব কিছুই নিজ হাতে সামলাচ্ছিলেন লক্ষ্মী। স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও বাড়ি থেকেই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। সম্প্রতি তৃণমূলের হাওড়া জেলার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। কিন্তু পরিবারে একের পর এক যেভাবে করোনা ভাইরাস থাবা বসাচ্ছা তাতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।