প্রয়াত হলেন ডার্কওয়াথ লুইস পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক টনি লুইস

  • প্রয়াত হলেন ডার্কওয়াথ লুইস পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক টনি লুইস
  • মৃত্যুকালে টনি লুইসের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর
  • ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড টনি লুইসের মৃত্যুর খবর জানায়
  • লুইসের মৃত্যুর খবর শোকের ছায়া ক্রিকেট বিশ্বে
     

প্রয়াত হলেন ডার্কওয়াথ লুইস পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক টনি লুইস। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন লুইস। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে টনি লুইসের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। লুইসের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া ক্রিকেট বিশ্বে। গণিতবিদ ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৯৭ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য ডাকওয়ার্থ–লুইস পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছিলেন লুইস। বৃষ্টি–বিঘ্নিত কোনও ক্রিকেট ম্যাচে পরে ব্যাটিং করা দলের লক্ষ্য কত হতে পারে তা নির্ধারণ করতেই এই পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছিলেন দু’‌জনে। পদ্ধতি উদ্ভাবনের দু’‌বছর পর আইসিসি সেটি অনুমোদন করে। যদিও ২০১৪ সালে এই পদ্ধতির নাম পরিবর্তন হয়। ডিএল থেকে এই পদ্ধতির নাম হয় ডিএলএস। অর্থাৎ ডাকওয়ার্থ–লুইস–স্টার্ন। স্টিভেন স্টার্ন ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক। তিনিও মূল পদ্ধতির কিছু পরিবর্তন করেছিলেন বলে তাঁর নামও জুড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ২০১১ সালে আজকের দিনে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল ধোনির টিম ইন্ডিয়া, আজও অমলিন সেই স্মৃতি

Latest Videos

আরও পড়ুনঃ'শুধু একটা ছয় নয়, বিশ্বকাপ জয়ে গোটা দল ও দেশের ভূমিকা ছিল' গম্ভীরের ট্যুইটে জল্পনা

আটের দশক থেকেই বৃষ্টি–বিঘ্নিত ম্যাচের হিসাবনিকেশ করার কাজ করছিলেন ডাকওয়ার্থ। কিন্তু সে সময় তাঁর প্রস্তাবে কেউ সায় দেয়নি। ১৯৯২ সালে ব্রিটেনের রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল সোসাইটির একটি কনফারেন্সে ফেয়ার প্লে ইন ফাউল ওয়েদার নামের একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন ডাকওয়ার্থ। সেই কনফারেন্সে হাজির ছিলেন ব্রিস্টলের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের লেকচারার লুইস। এরপরই দু’‌জনে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুনঃকরোনা মোকাবিলায় ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিল সর্ব ভারতীয় ফুটবল সংস্থা

১৯৯৭ সালে তাঁদের ডিএল পদ্ধতির প্রথম প্রবর্তন করা হয় জিম্বাবোয়ে বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচে। প্রথমে ব্যাটিং করে জিম্বাবোয়ে করেছিল ২০০ রান। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে ডিএল পদ্ধতির বিচারে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২ ওভারে ১৮৬ রান। এই পদ্ধতি উদ্ভাবনের আগে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে সমস্যায় পড়ত আইসিসি। অনেক সময় পরে ব্যাটিং করার দলের সামনে অদ্ভুত লক্ষ্যমাত্রা থাকত। যেমন ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টি–বিঘ্নিত হয়। বৃষ্টি নামার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৩ বলে ২২ রান। কিন্তু শেষে তা দাঁড়ায়, ১ বলে ২১ রান। যার ফলে সঠিক গাণিতিক হিসাবে ম্যাচ নির্ধারণের জন্য একটি সঠিক পদ্ধতি উদ্ভাবনের প্রয়োজন ছিল। তারপর বাকিটা ইতিহাস। এখন যে কোনও ম্যাচে ডিএলএস নিয়ম মাথায় রেখে নামেন দুই দলের অধিনায়ক ও ক্রিকেটাররা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে তো অপরিহার্য এই নিয়মের ভূমিকা। সেই ডিএলএস পদ্ধতির টনি লিউসের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন ক্রিকেট বিশ্বের। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News