জল্পনা চলছিলই, শুধু ঘোষণার অপেক্ষা ছিল। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আগে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ছিল তার শেষ দিন। মঙ্গলবার লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। আর তার পরপরই বিসিসিআই সূত্রে জানা গেল বাড়ানো হল আইপিএলের স্থগিতাদেশও। দেশে করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হলে আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনাও যে একেবারে ক্ষীণ তাও প্রায় স্পষ্ট হয়ে গেল মঙ্গলবার। আইপিএল ১৩-র আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর তারিখ ছিল ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে ১৫ এপ্রিল করা হয়। কিন্তু ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন হওয়ায় তা আর সম্ভব নয়। কারণ লকডাউন চালকালীন দেশে রেল থেকে বিমান সমস্ত পরিষেবাই বন্ধ। যার ফলে বিদেশি ক্রিকেটারদের যাতায়াত কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এমনিতেও পৃথিবীর সব দেশেই চলছে লকডাউন। তাই অনির্দিষ্ট কালের জন্য আইপিএল স্থগিত করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না বিসিসিআইয়ের কাছে। ৩ মে-র পর পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জাননো হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে।
আরও পড়ুনঃ২২ বছরের তরুণের সঙ্গে জলকেলিতে নেইমারের মা,অভিসারের ছবি হল ভাইরালবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও দিন দুয়েক আগে সে ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “গোটা পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি। এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়। আর বলার কিছু নেইও। বিমান পরিষেবা বন্ধ, মানুষ গৃহবন্দি। অফিস বন্ধ। কেউ কোথাও যেতে পারছে না। মনে হচ্ছে, মে’র অর্ধেক পর্যন্ত এই অবস্থাই থাকবে। ক্রিকেটাররা কীভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাবে? খুব স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, আইপিএল কেন এখন কোনওরকম স্পোর্টস ইভেন্টই আয়োজন সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুনঃসচিন টেন্ডুলকারকেই নিজেদের প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটার বলে উল্লেখ করলেন শন পোলকআরও পড়ুনঃপরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ম্যাচ ফিট থাকবেন তো বুমরা, শামি, ইশান্তরা, চিন্তিত প্রাক্তন ভারতীয় ট্রেনারএর মধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে, অক্টোবর-নভেম্বরের উইন্ডোতে আইপিএল করার কথা ভাবা হচ্ছে। সূচি অনুযায়ী, অক্টোবর-নভেম্বরে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। যদিও বিসিসিআই-এর কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল অক্টোবর-নভেম্বরের উইন্ডোতে আইপিএল হওয়ার জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া যদি ছ’ মাসের জন্য লকডাউন থাকে, তা হলে ওদের ক্রিকেটারদের কীভাবে ছাড়া হবে? তাছাড়া অন্য দেশের বোর্ডকেও তো প্লেয়ার ছাড়ার সম্মতি দিতে হবে।’’ ফলে আইপিএল ২০২০-র ভবিষ্যত যে বিশ বাঁও জলে তা এক প্রকার নিশ্চিত।