চরমে সিএবি ও ঋদ্ধিমান সাহার সংঘাত, বাংলা ছাড়তে চেয়ে এনওসি চাইলেন পাপালি

ফের একবার সংঘাত বাংলা তথা ভারতীয় দলের উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) ও ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (CAB)। সূত্রের খবর অপমানিত ঋদ্ধিমান সিএবির কাছে চাইলেন এনওসি (NOC)।
 

Web Desk - ANB | Published : May 18, 2022 8:20 AM IST

ফের একবার বাংলা তথা ভারতীয় দলের ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে প্রকাশ্য়ে সংঘাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের। আসন্ন রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য সিএবির দল ঘোষণা করার পরই তৈরি হয় বিতর্ক। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জির ট্রফির শেষ আটের লড়াইয়ে দলে রাখা হয় জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মহম্মদ শামি ও ঋদ্ধিমান সাহাকে। কিন্তু মহম্মদ শামির সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাকে দলে রাখা হয়। যদিও তার খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিসিআই। কারণ জাতীয় দল ও আইপিএলে টানা খেলার পর ওয়ার্ক লোড ম্য়ানেজেন্টের বিষয়টিও থাকছে। কিন্তু শামি যেখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটার, ২ মাস ধরে আইপিএলের বায়ো বাবলে রয়েছেন, সেখানে তাকে ফোন করা হলেও ঋদ্ধিকে কোনও ফোন না করেই বাংলা দলে রাখা হয়। তখনই ঋদ্ধির বাংলা দলে খেলা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠেছিল।

এই বিষয়টি ভলোভাবে নেননি ঋদ্ধিমান সাহা। সূত্রের খবর সিএবি কর্তাদের একের পর এক আচরণে ক্ষুব্ধ তারকা উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্য়ান। ঋদ্ধির ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা  গিয়েছে, ভারতীয় টেস্ট উইকেটকিপার সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে বলে দিয়েছেন যে, তিনি আর বাংলার হয়ে খেলতে চান না! বরং তিনি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ চান সিএবির থেকে। বাংলার হয়ে খেলার আর তাঁর কোনও ইচ্ছে নেই। ঋদ্ধির সঙ্গে সিএবির সংঘাত নতুন নয়। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ খেলতে চাননি ঋদ্ধিমান সাহা। সেই সময় সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন।  ১৫ বছর বাংলার হয়ে খেলার পর একের পর এক এই বিষয় ভালোভেবে নিচ্ছেন না ঋদ্ধি। চরম অপমানিত হয়েই বাংলা ছাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

বর্তমানে আইপিএল খেলতে ব্যস্ত থাকায় ঋদ্ধিমান সাহা এই বিষযে কোনও মুখ খোলেননি। তবে তাঁর স্ত্রী রোমি সাহা বলেন,'ঋদ্ধিমানের সঙ্গে পরের পর যা ঘটেছে, সিএবি যা আচরণ করেছে, তাতে ও অপমানিত। সেই কারণেই বাংলার হয়ে আর খেলতে চায় না।' সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া এই প্রসঙ্গে বলেন,'প্লেয়ার আর সংস্থার মধ্যে যে কথাবার্তা হয়, তা কঠোরভাবে দু’পক্ষের মধ্যেই থাকা উচিত। এই সময় আমি কোনও মন্তব্য করব না।' এখন দেখার বিষয় এটাই ঋদ্ধিমান সাহার মান ভঞ্জনে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল কোনও পদক্ষেপ করে কিনা। না নতুন কোনও রাজ্যের হয়ে খেলতে দেখা যাবে ঋদ্ধিকে। উত্তর দেবে সময়। 

আরও পড়ুনঃবিকিনিতে উপচে পড়ছে স্তনযুগল, জলে ভেজা শরীরে যৌনতার হাতছানি, চিনে নিন নেশা ধরানো কেকেআর তারকার বউকে

আরও পড়ুনঃএই ভারতীয় ক্রিকেটাররা হয়েছেন অভিনেতা, তালিকায় রয়েছে দুই বিশ্বকাপ জয়ী তারকা

Read more Articles on
Share this article
click me!